গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর নিয়ম

গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর নিয়ম এবং কিভাবে ঘুমালে গর্ভবতী মা সঠিক নিয়মে ঘুমাতে পারবে এবং ঘুমের মধ্যে কোন রকম বিরক্ত বা ডিস্টার্ব হবে না সে সকল বিষয় সবার জানা উচিত কারণ যখন একটি মেয়ে গর্ভবতী হয় তখন তার শারীরিক নানা পরিবর্তন দেখা দেয় আবার অনেক সময় তার মেজাজ খিট খেতে হয়ে থাকে তার খাদ্যে অরুচি হয় নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।

সেজন্য যখন একটি গর্ভবতী মা ঘুমাবে তখন তাকে কোনরকম কোন ঝামেলা করা যাবে না এবং তাকে সুন্দর একটি পরিবেশ দিতে হবে সে যেন সঠিকভাবে ঘুমাতে পারে। ঘুম এমন একটা জিনিস যা মানুষের সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে দেয় এবং মানুষকে সতেজ করে তোলে সে ক্ষেত্রে যখন একটি গর্ভবতী মা ঘুমাবে তখন তার প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে তার যেন কোনো রকম কোনো সমস্যা না হয় সেটাকে খেয়াল রাখতে হবে।

একটি গর্ভবতী মা কিভাবে ঘুমাবে এবং কতক্ষণ ঘুমাবে সে সকল বিষয়ে আপনারা যারা জানেন না তারা আমাদের এই লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়লে বুঝতে পারবেন যে একটি গর্ভবতী মাকে ঠিক কতটা যত্ন সহকারে ঘুমাতে হয় এবং তার ঘুমালে কি কি করা উচিত ও কি কি কাজ থেকে দূরে রাখা উচিত। যখন একটি গর্ভবতী মা ঘুমাবে তখন তার আশেপাশে যেন কোন রকম গ্যাঞ্জাম না হয় কোন রকম কোন শব্দ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

কারণ যদি গর্ভবতী মা ঘুমায় এবং আশেপাশের চেঁচামেচিতে যদি তার ঘুম ভেঙ্গে যায় এতে তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে যায় এবং সে হঠাৎ করে জায়গা পেয়ে টেনশন শুরু করে দেয় যা টেনশন টা তার বাচ্চা এবং মায়ের জন্য অনেক বেশি ক্ষতি করে। গর্ভবতী মা কে কোনরকম কোন টেনশন দেয়া যাবেনা সেই জন্য তার যেন ঘুম কোনরকম ভাবে না ভাঙ্গে সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে এবং গর্ভবতী মাকে পর্যাপ্ত পরিমাণের রেস্ট এর ব্যবস্থা করে দিতে হবে এবং যখন তার ঘুম পাবে সে যেন তখনই ঘুমাতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

এছাড়া একটি গর্ভবতী মা যখন ঘুমাবে তার বেডরুমে কোনরকম কোন ইলেকট্রনিক গেজেট রাখা যাবে না যেমন টিভি টেলিভিশন আর যদি পারেন তো স্মার্ট মোবাইলও তার কাছে না রাখা ভালো। যখন তার ঘরে টিভি বা কম্পিউটার থাকবে এতে তার বাচ্চার উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে এছাড়াও হঠাৎ করে যদি কেউ এসে টিভি বা কম্পিউটার চালু করে দেয় এতে তার হঠাৎ ঘুম ভেঙে যাবে এবং তার মধ্যে একটা অস্থিরতা কাজ করতে পারে সেজন্য এই সকল বিষয়গুলো এড়িয়ে চলতে হবে। এছাড়া একটি গর্ভবতী মহিলার ঘুমানোর সময় বিছানার আশেপাশে জায়গাটি দক্ষিণ ও পশ্চিম দিক করা উচিত এবং উত্তর ও পশ্চিম দিকে এড়িয়ে চলা ভালো।

এছাড়াও গর্ভবতী মা যখন সুবে তখন তার যদি কাজ করে শোয়া উচিত যেমন সে যদি ডান কাঁদে আরাম পায় তাহলে সেভাবে শুবে এবং বাঁকাতে আরাম পাবে সেভাবে শুবে কিন্তু বেশি সমস্যা হলে যে পাশে আরাম পাবে সেভাবে শোয়া উচিত। গর্ভবতী মা কে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নেয়ার সুযোগ দিতে হবে এবং তাকে বারবার খাবার দিতে হবে এবং সে যদি তাড়াতাড়ি রাতে ঘুমিয়ে যেতে চায় তাহলে তাকে ঘুমানোর সুযোগটা করে দিতে হবে। গর্ভবতী মায়ের পাশে অবশ্যই খাবার পানি রাখতে হবে যেন তার পিপাসা লাগলে সে সেখান থেকে পানি নিয়ে খেতে পারে কারণ গর্ভবতী মায়েদের অতিরিক্ত পানি পিপাসা পায়।

গর্ভবতী মায়ের জন্য বাথরুম রাখতে হবে একেবারে কাছে যেন রাতে এমন কোন জায়গায় না যাই সেখান থেকে কোন দুর্ঘটনা না ঘটে।এ সকল বিষয়গুলো আপনাদের সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে তাহলে একটি গর্ভবতী মা নিজে সুস্থ থেকে একটি সুস্থ সবল বাচ্চার জন্মগ্রহণ দিতে পারে আর এটার জন্য সবাইকেই হতে হবে সতর্ক। পরিবারের সবাই মিলে যখন একটি গর্ভবতী মায়ের যত্ন নিবেন তখন এই সকল বিষয়গুলো খেয়াল করার সহজ তাই সবাই মিলে গর্ভবতীর যত বেশি যত্ন নিবেন তার বাচ্চা তত বেশি সুন্দর ও ভালো হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *