গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ সমূহ

গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ সমূহ যদি আপনাদের জানা না থাকে তাহলে আমাদের এই ওয়েবসাইটে চলে আসুন এবং আমাদের এখান থেকে সকল তথ্য সংগ্রহ করুন গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ গুলো প্রত্যেকটি মানুষের জানা প্রয়োজন কারণ যদি হঠাৎ করে কেউ গর্ভবতী হয়ে যায় এবং সে যদি লক্ষণগুলো না জেনে থাকে তাহলে অনেকটা ভুল হয়ে যায়।

যেমন যাদের নতুন বিয়ে হয়েছে তারা যদি গর্ভবতী হয় লক্ষণগুলো না জেনে থাকে তাহলে তারা স্বাভাবিক নিয়মে চলাফেরা করতে থাকে তারা কোনোভাবে বুঝতে পারে না যে তারা প্রেগনেন্ট সেক্ষেত্রে তারা স্বাভাবিকভাবে হাঁটাচলা ফেরা খাওয়া-দাওয়া সবকিছুই করতে থাকে যার ফলে বাচ্চার বিপদ হয়ে যেতে পারে। আবার অনেক সময় গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণগুলো না জানার কারণে অনেকেই পিল খেয়ে ফেলে যার ফলে বাচ্চার নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

তাই এ সকল বিষয়গুলো জেনে রাখা অনেক বেশি প্রয়োজন আপনারা যারা এগুলো জানেন না তারা অবশ্যই আমাদের এই লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়বেন আশা করছি আপনারা সবাই বুঝতে পারবেন এ বিষয়গুলো। গর্ভবতী হওয়ার কিছু নিয়মিত লক্ষণ রয়েছে এই ধরনের লক্ষণগুলো গর্ভবতী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হয় তাই এ বিষয়গুলো জানা দরকার। গর্ভবতী হওয়ার প্রথম লক্ষণ হলো যে গর্ভবতী মায়ের মাথাব্যথা করবে এবং গা গুলাবে।

গর্ভবতী মা যখন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠবে তখন তার অনেক বেশি বমি বমি ভাব লাগবে হঠাৎ করেই তার অনেক বেশি বমিও হবে। গর্ভবতী হওয়ার পরে অনেক সময় খাবার খাওয়া যায় না যে কোন খাবার খেতে গেলে তার মশলার গন্ধ বা যে কোনো গন্ধ এসে নাকে লাগে যার ফলে গর্ভবতী মা কোনো রকম খাবার খেতে পারে না এবং যে খাবার খায় সেটাতে বমি বমি লাগে। গর্ভবতী হওয়ার আরেকটি লক্ষণ হল বেস্ট অনেক ব্যথা করবে। হঠাৎ করেই দেখা যাবে যে গর্ভবতী মায়ের বেহেস্তে ব্যথা করছে এবং অতিরিক্ত ব্যথা হচ্ছে সে ক্ষেত্রে আপনাদের বুঝে ফেলতে হবে যে হয়তো গর্ভবতী মা প্রেগন্যান্ট।

তাই আপনারা যখন গর্ভবতী হবেন বা বাচ্চা নিতে চাইবেন তখন এই লক্ষণ গুলো খেয়াল করবেন যদি আপনাদের মধ্যে এ ধরনের লক্ষণগুলো থেকে থাকে তাহলে আপনারা কোন রকমের পিল খাবেন না এবং সতর্ক থাকবেন। এ সকল লক্ষণ গুলোর পরে যদি আপনাদের মাসিক বন্ধ থাকে তখন বুঝে যাবেন যে আপনি একেবারেই প্রেগনেন্ট তখন আপনি কাঠি দিয়ে পরীক্ষা করবেন সত্যিই আপনি প্রেগন্যান্ট কিনা। তবে কাঠিতে অনেক সময় ভুল হয় সেজন্য কাঠি দিয়ে পরীক্ষা করার সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এবং ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নিয়ে ও সঠিকভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হবে।

শুধুমাত্র মাসিক বন্ধ থাকলে যে প্রেগনেন্ট হয় এমনটা নয় কারণ অন্যান্য কারণের জন্য অনেক সময় মাসিক বন্ধ থাকতে পারে সেই জন্য আপনাদের সঠিকভাবে পরীক্ষা করাটা অনেক বেশি প্রয়োজন।যাদের মাসিকের সমস্যা হয় তারা অবশ্যই নিয়মিত চেক করবেন কারণ অনেক সময়ই তাদের মাসিক দুই থেকে তিন মাস এমনিতেই বন্ধ থাকে কিন্তু এর মধ্যে যদি তারা বেবি কনসিভ করে ফেলে তাহলেও কিন্তু মাসিক বন্ধ থাকবে।

এই ভুলটা অনেকে করে বসে তারা প্রেগনেন্ট হয়ে যায় কিন্তু তারা ভাবে যে হয়তো মাসিক এমনিতে বন্ধ হয়েছে যার ফলে তারা পিল খায় বা অন্য কোন ব্যবস্থা নিয়ে ফেলে এতে বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে সহবাসের পরে যদি মাসিক এক থেকে দুই মাস বন্ধ থাকে তাহলে অবশ্যই পরীক্ষা করবেন এবং পরীক্ষা নিরীক্ষা করে শিওর হবেন যে আপনি প্রেগন্যান্ট হয়েছেন কিনা।

তাহলে যেন বাচ্চা পেটে আসলে তার কোনরকম কোন ক্ষতি না হয় এবং সে সুষ্ঠুভাবে দুনিয়াতে আসতে পারে। এ সকল লক্ষণ গুলো আপনাদের খেয়াল করতে হবে কারণ আপনারা যারা গর্ভবতী মায়ের সেবা করবেন তারা যদি এ ধরনের লক্ষণ গুলো বুঝে ফেলতে পারেন তাহলে সেই মায়ের আর কোন ক্ষতি হবে না এবং বাচ্চার সুষ্ঠুভাবে দুনিয়াতে আসতে পারবে তার কোনো রকম কোনো বিপদ হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *