গর্ভবতী হওয়ার প্রথম মাসের লক্ষণ সমূহ

গর্ভবতী হওয়ার প্রথম মাসের লক্ষণসমূহ যারা জানতে চেয়েছেন তারা আমাদের এই লেখাগুলো মধ্য সরকারে করুন আশা করছি আপনারা আপনাদের প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন এবং গর্ভবতী মায়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে কি কি করণীয় এবং কিভাবে তাকে পুরো মাসটা চলতে হবে সে সকল বিষয়ে জানতে পারবেন। গর্ভবতী হওয়ার পর প্রথম মাস থেকে অনেকে বুঝতে পারে না কারণ প্রথম মাস চলে যায় মাসিকের জন্য।

গর্ভবতী হওয়ার পর এক মাস না গেলে কোনোভাবে বোঝা যায় না যে সেই মানুষটা গর্ভবতী কারণ এই সময়টাই পরীক্ষা করার জন্য কিছু সময় প্রয়োজন পড়ে সেজন্য যখনই ৩০ দিন পার হবে এবং ৪০ থেকে ৪৫ দিনে যাবে তখনই কাঠি দিয়ে পরীক্ষা করলে ধরা পড়ে প্রেগন্যান্ট। কিন্তু এই সময়ের আগেও কিছু লক্ষণ রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে বোঝা যায় যে সে মানুষটির গর্ভবতী বা প্রেগনেন্ট হয়েছে।

গর্ভবতী হওয়ার পরে যে সকল লক্ষণগুলো বেশি বোঝা যায় তা হল অতিরিক্ত মাথা ঘোরার কারণ এই সময়টাই হঠাৎ করেই মাথা ঘুরতে থাকবে এবং বমি বমি ভাব লাগবে। এছাড়াও মাথা ঘোরার পাশাপাশি মাথাব্যথা এবং গা গলানো ব্যাপার থাকবে। আপনি যত বেশি স্বাভাবিক হতে চান বা যত বেশি মাথা ব্যথার ওষুধ খেতে চান কোনভাবেই এ ব্যথা কমতে থাকবে না এবং এই ব্যথা বাড়তেই থাকবে।

তবে এই সমস্যাটা বেশিদিন থাকে না খুব দ্রুতই মাথা ব্যথাটা সেরে যায় কিন্তু গা গোলানো এবং বমি বমি ভাবটা অনেকদিন থাকে। খাদ্যের উপর অনেকটা অরুচি চলে আসে আপনি যত সুস্বাদু খাবার সামনে পান না কেন আপনার খাওয়া হবে না। এ সকল বিষয়গুলো সাধারণত হরমোনের জন্য হয় কারণ যখন একটি মানুষ গর্ভবতী হয় তখন তার শরীরের মধ্যে নানা রকম হরমোনের পরিবর্তন দেখা দেয় যার ফলে এরকম গা ঘোলানো মাথা ঘোরা মাথাব্যথা এবং বমি বমি ভাব হয়।

তাই যারা গর্ভবতী হয়েছেন তারা এ ধরনের সমস্যা হলে বেশি ঘাপে যাবেন না কারণ এটা সবারই হয় সেজন্য আপনাকে একটু সতর্ক থাকতে হবে এবং প্রথম মাস থেকে শুরু করে পুরো নয় মাস অনেক যত্ন সহকারে থাকতে হবে। কমপক্ষে চারবার বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং দেখা করতে হবে কারণ ডাক্তার আপনাকে যেভাবে চলতে বলবে আপনাকে সেভাবে চলতে হবে এবং আপনি যত ডাক্তারের কাছে যাবেন ও নিজেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন আপনার বাচ্চা কেমন আছে কোন পজিশনে আছে তত ভাল বুঝতে পারবেন।

অনেক মানুষ আছে যারা ডাক্তারের কাছে যেতে চায় না এবং যেকোনো সমস্যা হলে ঘরে বসে থাকে কিন্তু গর্ব অবস্থায় এমনটা বসে থাকা উচিত নয়। কারণ যখন তখন যে কোন সমস্যা হয়ে যেতে পারে সেজন্য নিয়মিত ডাক্তারের কাছে যাওয়া অনেক বেশি প্রয়োজন এবং আল্টাসনোগ্রাফি করে বাচ্চারা কেমন আছে সেটাও জানা প্রয়োজন। আপনি যখন প্রথম থেকে ডাক্তারের কাছে যাবেন এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে শুরু করবেন তখন থেকে আপনার বাচ্চা কেমন আছে এবং বাচ্চার শরীরে কোনটা প্রয়োজন এবং কোনটা বেশি রয়েছে সে সকল বিষয় জানতে পারবেন।

অনেক সময় মা পর্যাপ্ত পরিমাণের খায় কিন্তু বাচ্চার গায়ে লাগে না বা বাচ্চার ওজন অনেকটা কম থাকে সে ক্ষেত্রে কিন্তু মায়ের খাওয়াটা কোন কাজে লাগে না তাই যখন আপনি ডাক্তারের কাছে যাবেন তখন আপনি বুঝতে পারবেন যে কোন ভিটামিন টা আপনার বাচ্চা শুনলে কম রয়েছে এবং কোন খাবারটা খেলে সেই ভিটামিন টা আপনার বাচ্চা পাবে।

এছাড়াও যদি শারীরিক কোন জটিলতা থেকে থাকে তাহলে ডাক্তারের কাছে গেলে সেটা ভালো মতো বোঝা যায় তাই আমাদের মতে আপনারা গর্ভবতী হওয়ার পর থেকে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন এবং নিয়মিত গাইনি ডাক্তারের কাছে গিয়ে চেকআপ করাবেন। এতে করে বাচ্চা এবং মা দুজনের সুস্থ থাকবে এবং কোনরকম কোন সমস্যা ছাড়াই ডেলিভারি হয়ে যাবে। তাই এ সকল বিষয়গুলো প্রত্যেকের জানা প্রয়োজন যেন কোনো রকম কোনো বিপদ না আসে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *