পাইলসের লক্ষণ গুলো কি কি

পাইলসের লক্ষণ গুলো কি এটা সবার প্রথমে জানা প্রয়োজন কারণ আপনাদের যাদের পাইলসের সমস্যা রয়েছে তারা যদি লক্ষণগুলো না বুঝতে পারেন তাহলে কিভাবে বুঝবেন যে কোন সমস্যার জন্য আপনাদের এতটা কষ্ট হচ্ছে। পাইলসের লক্ষণ গুলো অনেক ভাবে বোঝার উপায় আছে কারণ যখন একটি মানুষের পায়েল হয় তখন কিন্তু নানা রকম ভাবে সে অস্বস্তি এবং কষ্ট অনুভব করতে পারে তাই আপনাদের প্রথম অবস্থায় জেনে নিতে হবে যে পাইলস হওয়ার আগে ঠিক কেমন হয়।

আজকে আমরা আপনাদের সুবিধার জন্য পাইলসের লক্ষণ গুলো দিয়ে আমাদের এবারের আয়োজনটি করেছি আপনারা আমাদের এই লেখাগুলো পড়লে পাইলস হওয়ার আগে কি কি লক্ষণ হয় এবং কিভাবে বুঝবেন যে আপনাদের বাজে সমস্যা রয়েছে সেটা জানতে পারবেন। যে সকল মানুষগুলোর অতিরিক্ত কোষ্ঠকাঠিন্য আছে যাদের খাবারের হজম শক্তি একেবারে কম আবার অনেক সময় যারা ফাস্টফুড বেশি খায় এবং তৈলাক্ত জিনিস খেতে থাকে তাদের পাইলসের সমস্যাটা বেশি হয়। এছাড়া অনেক মানুষ আছে যারা পর্যাপ্ত পরিমাণে শাকসবজি খেতে চায় না শুধুমাত্র মাংস খায় তাদের কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্য বেশি হয় আবার অনেক মানুষ আছে যারা সারাদিন অনেক বেশি পরিশ্রম করে কিন্তু সঠিকভাবে ঘুমায় না বা রেস্ট নেয় না।

যেমন অনেক মানুষ সারাদিন দাঁড়িয়ে থেকে কাজ করে তাদের কিন্তু পান্সের সমস্যাটা হতে পারে আবার অনেক মানুষ আছে যারা সারাদিন বসে থেকে কাজ করে তাদেরও হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সেজন্য পাইলসের আগে আপনাদের এই সকল লক্ষণ গুলো ভালোভাবে খেয়াল করতে হবে এবং বুঝে নিতে হবে যে এই সকল কাজগুলো করলে আপনাদের কি কি ক্ষতি হতে পারে তাই একটি শরীরে যে সকল জিনিসগুলোর প্রয়োজন পড়ে সে সকল জিনিসগুলো থাকাটা খুবই বেশি প্রয়োজনীয়।

পাইলসের লক্ষণ গুলোর মধ্যে আপনাকে যেটা খেয়াল করতে হবে সেটা হলো যে আপনার কোন গ্যাসের সমস্যা আছে কিনা যদি আপনার অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা থাকে তাহলে সেটা দূর করার চেষ্টা করতে হবে কারণ যখন একটি মানুষের শরীরে গ্যাস থাকবে তখন কিন্তু যে কোন খাবার তার সহজে হজম হবে না। আর যখন খাবার হজম হবে না তখন কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্য শুরু হয়ে যাবে আর কোষ্ঠকাঠিন্য শুরু হওয়া মানেই সেখানে পাইলসের সম্ভাবনা দেখুন বেড়ে যাওয়া। যখন একটি মানুষের কোষ্ঠকাঠিন্য হয় তখন কিন্তু বাথরুমে যাওয়ার সাথে সাথে তার মলদ্বার দিয়ে অতিরিক্ত চাপের সাথে পায়খানা বেরিয়ে আসে যার ফলে মলদ্বার ছিড়ে যায় এবং অতিরিক্ত ব্যথা হয়ে যায় ও মলদার ফুলে যায়।

যখন মলদার দিয়ে রক্ত বের হবে এবং সে জায়গাটা অতিরিক্ত ব্যথা হবে ও ফুলে যাবে তখনই বুঝতে হবে যে আপনার পায়েসের সমস্যা হয়েছে। অনেক সময় এটা কিন্তু একবার হয়ে থাকে আর যখনই প্রথমবার কষ্ট পাঠানোর জন্য মলদ্বার ছিড়ে যাবে তখন বারবার বাথরুমে গেলে কিন্তু ওই ক্ষতস্থান টা আরো বেশি হতে থাকবে যার ফলে যতক্ষণ না আপনি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করছেন ততক্ষণ আপনার পাইলসের ওই সমস্যা দূর হবে না বা আপনার মলদ্বারে ব্যথা কমবে না। তাই এ সকল লক্ষণ গুলো আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয়ে যাচ্ছে তারা অবশ্যই এটা দূর করার চেষ্টা করবেন কারণ পাইলসের সমস্যা একদিনে হবে না দীর্ঘদিন থেকে যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে তাদেরই কিন্তু এটা তাড়াতাড়ি হবে।

বর্তমানে এই সমস্যাটা অনেক বেশি দেখা দেয় এটা ছেলে মেয়ে সবারই হতে পারে এবং হঠাৎ করেই যখন এমনটা হয় তখন কিন্তু মানুষ অনেক বেশি ভয় পেয়ে যায় তাই যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে তারা একটু চেষ্টা করবেন যেন এই সমস্যাটা দূর হয় এবং পেট যেন সবসময় ক্লিয়ার থাকে। অতিরিক্ত যদি এই সমস্যাটা দেখা যায় তাহলে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে কারণ শরীর থেকে যখন অতিরিক্ত রক্ত বের হয়ে যাবে তখন কিন্তু একটি মানুষের শরীর দুর্বল হয়ে যাবে এবং সেখান থেকে আরো নানারকম রোগের সৃষ্টি হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *