গর্ভবতী মায়ের দশ আমল

গর্ভবতী মায়ের দশ আমল জানা থাকলে আপনারা গর্ভবতী সময়ে এইসব আমলগুলো পাঠ করতে থাকলে আল্লাহ আপনাদের উপর অনেকটা সন্তুষ্ট হবে এবং আপনাদের সকল বালা-মুসিবত থেকে দূরে রাখবে। সেজন্য আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে গর্ভবতী সময়ের এই সকল বিষয়গুলো জেনে রাখবেন তাহলে আপনাদের পরবর্তী সময়ে আরো ভালো হবে কারণ এই সময়টা এত বেশি ঝুঁকিপূর্ণ যে আল্লাহ ছাড়া কোনভাবেই রক্ষা পাওয়া সম্ভব নয়।

গর্ভবতী সময়ে যে সকল জিনিসগুলো অনেক বেশি বেশি পাঠ করতে হয় সেগুলো আমাদের ওয়েবসাইটে দেয়া রয়েছে আপনারা এখান থেকে সকল তথ্যগুলো সংগ্রহ করতে পারেন বা সঠিকভাবে জানতে পারেন যে গর্ভবতী অবস্থায় কি কি করতে হবে। গর্ভবতী অবস্থায় সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেটা হলো সেটা কুরআন তেলাওয়াত করা আপনি নিয়মিত কোরআন যদি পাঠ করতে থাকেন তাহলে আল্লাহ আপনার উপর সন্তুষ্ট হবে এবং আপনার সকল সমস্যা দূর করে দেবে।

গর্ভবতী সময়ে একটি নিয়ম করে জীবন যাপন করতে হয় কারণ এই সময়ে নিয়ম করে খাওয়া-দাওয়া করতে হয় নিয়ম করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হয় এবং নিয়ম করে ঘুমানোর একটি ব্যাপার রয়েছে সেক্ষেত্রে যদি এই নিয়মের মধ্যে আপনি কিছু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করেন তাহলে তো আরো বেশি ভালো হয়।যেমন গর্ভবতীর সময় আপনাকে অবশ্যই নামাজ পড়তে হবে পাঁচ ওয়াক্ত এই সময় যদি আপনি ভোরবেলা উঠে নামাজ পড়েন এবং তার পরে যদি প্রতিদিন কোরআন তেলাওয়াত করতে পারেন তাহলে দেখা গেল আপনার সারাদিনটা অনেক ভালো যাবে এবং সারাদিন আপনি আল্লাহর হেফাজতে থাকতে পারবেন।

এছাড়া প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় মাসে যে সকল দোয়াগুলো পাঠ করতে হয় তা আপনারা আমাদের এখান থেকে জানতে পারবেন ওই দোয়াগুলো যদি আপনি নিয়মিত পাঠ করতে থাকেন তাহলে আপনার প্রথম দ্বিতীয় এবং তৃতীয় মাস কোনরকম কোন সমস্যা ছাড়াই আপনি পার করতে পারবেন। কারণ গর্ভবতী অবস্থায় এই তিন মাস বেশি কষ্টকর হয় কারণ এই তিন মাসে নানারকম ঝুঁকি থাকে বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাওয়ার জন্য তাই এই তিন মাস পুষ্টিকর খাবার খাওয়া শারীরিকভাবে রেস্ট নেওয়া এবং সকল নিয়মকানু মেনে চলা অনেক বেশি প্রয়োজন।

এছাড়াও চতুর্থ পঞ্চম ও সপ্তম সপ্তাতে যে সকল আমলনামা গুলো করা উচিত তা আপনারা আমাদের এখানে পেয়ে যাবেন এগুলো আপনারা নিয়মিত পালন করতে হবে তাহলে দেখা যাবে যে কোন রকম কোন বিপদ ছাড়া আপনার বাচ্চা পেটের মত সুস্থ ভাবে বড় হতে পারবে এবং সে সুস্থভাবে পৃথিবীতে আসতে পারবে।তাই আপনারা যদি নিজেদের ভালো চান বা নিজেকে সুস্থ রাখতে চান তাহলে অবশ্যই আল্লাহর দেয়া পথে আপনাকে চলতে হবে আর গর্ভবতী অবস্থায় ১০ আমলের মধ্যে এটাও পড়ে যে মিথ্যা কথা বলা যাবে না এবং অন্যের খারাপ যাওয়া যাবে না।

কারণ আপনি যখন অন্যের খারাপ যাবেন তখন আপনার বাচ্চার মধ্যে সেরকম একটা মনোভাব তৈরি হবে এবং আপনার বাচ্চা যখন বড় হবে তখন সেও মানুষের খারাপ যাবে এবং ভালো কোন কাজ করতে পারবে না। গর্ভবতী অবস্থায় অবশ্যই মানুষের পরনিন্দা করা যাবে না কারণ আপনি যদি যত বেশি পজিটিভ ভাববেন আপনার বাচ্চা তত বেশি পজিটিভ হবে এবং আপনার মধ্যে যদি খারাপ চিন্তা ভাবনা থাকে এবং অন্যের উপর হিংসাত্মবোধ থাকে তাহলে আপনার বাচ্চার মধ্যেও তেমনটাই হবে।

সেজন্য গর্ভবতী অবস্থায় সবসময় পজেটিভ চিন্তাভাবনা করতে হবে মানুষের উপকার করতে হবে মিথ্যা কথা বলা যাবে না এবং কুরআন তেলাওয়াত করতে হবে এবং আমাদের ওয়েবসাইটে কিছু আমলনামা দেয়া হয়েছে সেগুলো নিয়মিত পাঠ করতে হবে তাহলে দেখবেন যে আল্লাহ আপনার উপর খুশি হবে এবং সকল বালা-মুসিবত থেকে আপনাকে দূরে রাখবে।

এমন সময় শুধুমাত্র আল্লাহই পারে সকল বিপদ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে সেজন্য আল্লাহর কাছে বারবার আস্তাগফিরুল্লাহ পড়তে হবে যেন আল্লাহ আপনার সকল গুনাহ মাফ করে এবং আপনার সকল পথ সহজ করে দেয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *