সাত দিনের বেশি মাসিক হলে করণীয়

সাত দিনের বেশি মাসিক হলে করণীয় রয়েছে এ ধরনের সমস্যা থেকে কিন্তু তাড়াতাড়ি সমাধানের প্রয়োজন। এ বিষয়গুলো যারা গুরুত্ব দেন না তারা অনেক বড় ভুল করেন কারণ 7 দিনের বেশি যদি একটি মানুষের মাসিক হতে থাকে তাহলে কিন্তু সেই মানুষটার শারীরিক অবস্থা একেবারে খারাপ হয়ে যায়। এখান থেকে আরো নানারকম রোগের সৃষ্টি হতে পারে কারন একটি মেয়ে মানুষের জন্য মাসিক অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

আপনারা যারা ৭ দিনের বেশি মাসিকের সমস্যা নিয়ে রয়েছেন তারা অবশ্যই আমাদের লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন তাহলে আমাদের এখান থেকে কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন যেগুলো আপনাদের অনেক বেশি প্রয়োজন। স্বাভাবিক নিয়মে প্রতি একমাস পর পর প্রতিটা মেয়ে মানুষের মাসিক হয় সে ক্ষেত্রে কিছুদিন আগে মাসিক হতে পারে আবার কিছুদিন পরে হতে পারে কিন্তু মাসিক শুরু হওয়ার পরে অবশ্যই সেটা সাত দিন থাকবে বা সাত দিনের কম থাকবে।

কিছু কিছু মেয়ে মানুষ আছে যাদের পুরো ৭ দিন লাগে আবার কিছু কিছু মেয়ে মানুষ আছে যারা তিন থেকে চার দিনের মধ্যেই মাসিক একেবারে ভালো হয়ে যায়। তবে এই সময়ের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত মাসিকের সাথে বের হয় যার ফলে কোনরকম শারীরিক খারাপ অবস্থায় কেউ যায় না।বর্তমানে মাসিকের সমস্যা অনেক মেয়েমানুষে রয়েছে যারা বিবাহিত তাদেরও এ ধরনের সমস্যা হয় যারা অবিবাহিত তাদেরও মাসিকের সমস্যা হয় আর এই জন্য অবশ্যই আপনাদের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।

একটি মেয়ে মানুষের যদি মাসিক স্বাভাবিকভাবে না হয় তাহলে কিন্তু পরবর্তীতে তার বাচ্চা কনসিভ করতে অনেকটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় অনেক সময় তো অনেক মেয়েদের বাচ্চা হয় না মাসিকের জন্য। তাই যাদের এই ধরনের সমস্যা রয়েছে তারা অবশ্যই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন এবং সঠিকভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পরে চিকিৎসা নেন যাতে অন্য কোন সমস্যা হলেও দ্রুত সেটার চিকিৎসা পাওয়া যায়। যখন মাসিক সাত দিন হয় তখন কিন্তু সাত দিনের পুরোপুরি ব্লাড যায় কিন্তু সাতদিনের বেশি যখন মাসিক শুরু হয় এবং ব্লাড যদি সে প্রথম দিনের মত যেতে থাকে তাহলে কিন্তু একটি মেয়ে মানুষের শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা দিবে।

প্রতিমাসে যদি একই হারে সাত দিনের বেশি করে মাসিক হয় এবং সেটা কোনভাবে কন্ট্রোলে আনা যায় তাহলে বুঝে নিতে হবে এখানে অন্য কোন সমস্যা হতে পারে। অনেক সময় জরায়ুর সমস্যার জন্য এমনটা হয়ে থাকে কিন্তু কিছু কিছু মানুষ আছে যারা এ বিষয়টাতে অত বেশি গুরুত্ব দেয় না এবং তারা ভাবে হয়তো মাসিকের জন্যই এমনটা হচ্ছে বা সময়টা বেশি লাগছে। যখন একটি মেয়ের শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্ত বের হয়ে যায় তখন সে নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হয় যেমন বমি বমি ভাব হওয়া যে কোন খাবার খেতে না পারা ঘন ঘন মাথা ঘোরা শরীর অতিরিক্ত দুর্বলতা অনুভব করা।

এ সকল বিষয়গুলো দেখা দেবে কারণ প্রতি মাসে যদি সাত দিনের বেশি মাসিক হয় তাহলে কিন্তু অবশ্যই শরীরের মধ্যে দুর্বলতা আসে এমনিতেই যখন একটি মেয়ের মাসিক হয় তখন কিন্তু ওই সাতদিন তার এক্সটা কেয়ারের প্রয়োজন পড়ে। সে ক্ষেত্রে যদি সাত দিনের বেশি এমনটা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই শরীর খারাপ হওয়ার বিষয়টা গ্রহণ করার মতই।

তাই আপনাদের যাদের এ ধরনের সমস্যা রয়েছে আপনারা যারা দীর্ঘদিন থেকে মাসিকের এমন সমস্যায় ভুগছেন তারা অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন নিজেকে সুস্থ রাখতে হলেও আপনাদের ডাক্তারের পরামর্শ নেয়াটা অনেক বেশি প্রয়োজন। এছাড়া অনেকে আছে যারা মাসিকের এই সমস্যার জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকে ফার্মেসি থেকে এই ওষুধগুলো যদি তাদের কাজ না করে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ এবং ডাক্তারের দেয়া ওষুধগুলো তাকে সেবন করতে হবে এতে করে কোন সাইড ইফেক্ট ছাড়াই তারা সুস্থ হয়ে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *