চোখের এলার্জি দূর করার উপায়

চোখের এলার্জি দূর করার জন্য যে সকল কাজগুলো আপনাদের করা প্রয়োজন তা জানতে হলে আমাদের এই লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং আমাদের সঙ্গে থাকুন শেষ পর্যন্ত। যাদের চোখের এলার্জি রয়েছে তারা যে কোন সময়ই আক্রান্ত হয়ে যেতে পারে কারণ চোখের এনার্জি হুটহাট করে হয়ে যেতে পারে।

যেমন আপনি কোথাও ঘুরতে গেছেন সেখানে যদি হঠাৎ করে ধুলাবালি উড়ে যায় এবং সেটা যদি আপনার চোখে চলে আসে তাহলে কিন্তু আপনার চোখের এলার্জি শুরু হয়ে যাবে। আর যাদের চোখের এলার্জি রয়েছে তাদের এলার্জি হওয়া মানে চোখ ফুলে যাওয়া এবং চোখের ভেতরে অতিরিক্ত চুলকানো। চোখের এলার্জি দূর করার জন্য আপনাদের তখনই চোখ থেকে ধুলাবালি গুলো বের করে ফেলতে হবে যেমন আপনি ঠান্ডা পানি ঝাপটা চোখে দিতে পারেন সে ক্ষেত্রে অনেকটা ময়লা বের হয়ে যেতে পারে কিন্তু যদি একবার চোখের এলার্জি শুরু হয়ে যায় তাহলে কিন্তু সেটা থামানো অনেক কষ্টকর হয়।

এছাড়া যাদের চোখে এলার্জি রয়েছে তারা কিন্তু যে কোন খাবার খেলেই তা সহ্য করতে পারে না কারণ অনেক সময় অনেক মানুষ জানে না যে কোন খাবার অ্যালার্জি থাকে কোন খাবার এলার্জি থাকে না সে ক্ষেত্রে যদি সে খাবারটা খেয়ে ফেলে তাহলে এলার্জি শুরু হয়ে যাবে। তাই যাদের অ্যালার্জি রয়েছে তাদের সব সময় সতর্ক থাকতে হবে এবং কোন কোন খাবারে এলার্জি রয়েছে সে সকল তালিকা গুলো আলাদা করে রাখতে হবে এবং অতিরিক্ত খেতে মন চাইলে সে সকল খাবারগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে।

চোখের এলার্জি হলে অনেকেই কষ্ট হয় একটি মানুষের কারণ চোখ এমন একটি জায়গা যেখানে সঠিকভাবে চুলকানো যায় না বা চোখের ভিতরে অনেক বেশি যন্ত্রণা হয় যেটা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না সহজে। অনেক সময় অনেক মেয়ে মানুষের যাদের চোখের এলার্জি রয়েছে তাদের কিন্তু মাসিক হওয়ার সময় যেকোনো প্যাড ইউজ করতে পারে না কারণ যে কোন প্যাড ইউজ করলে তাদের চোখে এলার্জি শুরু হয়ে যায়। সেজন্য এই সকল বিষয়গুলো মহিলাদের জেনে নিতে হবে যে কোনটা ব্যবহার করলে তাদের এলার্জি বাড়বে বা কোনটা ব্যবহার করলে এলার্জি বাড়বে না।

নিজেকে ভালো রাখতে হলে অবশ্যই এ সকল বিষয়গুলো খেয়াল করতে হবে তা না হলে আপনাদের চোখের সমস্যা অতিরিক্ত হয়ে যাবে আর চোখের সমস্যা হলে তা সহজে ভালো হতে চায় না। তাই প্রতিটা বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে এবং চেষ্টা করতে হবে এলার্জি যুক্ত খাবার অ্যালার্জি যুক্ত জায়গা থেকে যেন নিজেকে দূরে রাখা যায়। এছাড়া যদি হঠাৎ করে কারো অ্যালার্জি শুরু হয়ে যায় চোখে তাহলে অবশ্যই সেখানে ঠান্ডা পানি দিয়ে কাপড় ভিজিয়ে চোখের চারপাশে রেখে দিতে পারেন এতে করে চোখের জালাটা অনেকটা কমতে পারে।

এছাড়াও চোখের জন্য শসা অনেক বেশি উপকারী আপনারা গোল গোল করে শসা কেটে চোখের উপরে দিয়ে দিতে পারেন এতে চোখের ফোলা অংশটা কমে যাবে এবং চোখ চুলকানোটা কমে যাবে। এলার্জি হলে সবসময় চেষ্টা করবেন পরিষ্কার কাপড় একেবারে ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে চোখের উপরে দিয়ে রাখতে এছাড়াও ঠান্ডা পানির ঝাপটা যেন চোখে দেয়া হয়। এতে করে আপনারা এলার্জি থেকে মুক্ত হতে পারবেন বা অ্যালার্জিটা কমিয়ে রাখতে পারবেন এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

প্রাথমিক অবস্থায় এই চিকিৎসা গুলো করা অনেক বেশি প্রয়োজন কারণ এলার্জি জিনিসটা অনেক বেশি ভয়ংকর হতে পারে আপনি যদি এনার্জি সমস্যাটা নিয়ে ঘরে বসে থাকেন আস্তে আস্তে চোখের এতটা বাজে অবস্থা হয়ে যাবে যে আপনি চোখে ঝাপসা দেখা শুরু করবেন।

তাই এলার্জির এই সমস্যাগুলো হলে যদি আপনার হাতের কাছে কোন রকম কোন ড্রপ না থাকে তাহলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যাবেন এবং সেখান থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হওয়ার চেষ্টা করবেন। এই তথ্যগুলো নিজে জানোন এবং অন্যকে জানিয়ে রাখুন তাহলে যে কোন বিপদের সময় নিজেকে সুস্থ রাখতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *