এলার্জি কমানোর উপায়

যাদের অতিরিক্ত এলার্জি রয়েছে এবং যারা এলার্জির সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন তারা অবশ্যই আমাদের এই লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে অবশ্যই আপনারা অ্যালার্জি কমানোর উপায় কিছু জানতে পারবেন।

যাদের অ্যালার্জি রয়েছে তারা কখনোই শান্তি পায় না কারণ কোথাও ঘুরতে গেলেন বা কোন জায়গায় গেলেন সেখানকার একটু অনিয়ম হলেই তাদের অ্যালার্জি শুরু হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে অবশ্যই এলার্জি কমানোর কিছু টিপস নিজের কাছে জেনে রাখা ভালো যেন হুটহাট করে কোন সমস্যা হলে আপনি এলার্জিটা কমানো বা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারেন। বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন রকমের এলার্জি রয়েছে কারো ধুলোয় অ্যালার্জি কারো খাবারের অ্যালার্জি কারো আবার ঠান্ডা লাগায় এলার্জি।

যাদের ধুলোতে এলার্জি রয়েছে তারা সবসময় চেষ্টা করবেন ধুলো থেকে দূরে থাকতে কারণ যেখানে ময়লা বালি থাকবে সেটা যখনই আপনার নাকের মধ্যে যাবে তখন আপনার অ্যালার্জি শুরু হয়ে যাবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই এ সকল জায়গা থেকে দূরে থাকার সবার উচিত। যেকোনো জায়গায় ঘুরতে গেলে অবশ্যই মার্কস ব্যবহার করবেন এবং ধুলাবালি দেখলে সেখান থেকে দূরে যাওয়ার চেষ্টা করবেন কারণ যেহেতু আপনার এটাতে সমস্যা সেহেতু এ সকল জায়গাগুলো এড়িয়ে চলা আপনার জন্য অতিরিক্ত উত্তম।

নিজের কাছে সব সময় এলার্জির ওষুধ রাখবেন এবং অবশ্যই পানি রাখবেন যেন কোন রকম ধুলাবালি যদি আপনার নাকে বা মুখে ঢুকে যায় তাহলে যেন আপনি সেটা পরিষ্কার করে ফেলতে পারেন। আবার যাদের খাবারে এলার্জি রয়েছে তারা অবশ্য সতর্ক থাকবেন খাবারের বিষয়ে কারণ খাবারের অ্যালার্জিটা মানুষের অতিরিক্ত দেখা যায় যখন যে খাবারটা খেলে আপনার অ্যালার্জি হবে সে খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে।

অবশ্যই আপনি জানেন যে কোন কোন খাবারে এনার্জি রয়েছে সে সকল খাবারগুলো খেলে আপনার বেশি হয় তখন আপনি সে খাবার গুলো একেবারে খাবেন না হ্যাঁ আপনি তখনই খাবার গুলো খেতে পারবেন যখন আপনি নিয়মিত ওষুধ খাবেন।যখন আপনি নিয়মিত অ্যালার্জির ওষুধ খাবেন বা আপনার কাছে এলার্জির ওষুধ থাকবে তখন আপনি সব ধরনের খাবার খেতে পারেন কোন ধরনের কোন সমস্যা হবে না কিন্তু নিজের কাছে ওষুধ না থেকে এই রিস্ক নিবেন না।

অনেক সময় এলার্জি এমন একটি রূপ ধারণ করে মানুষের শরীরে অতিরিক্ত চুলকায় এবং ফুলে যায় আর সেখানকার চুলকানো কোন সময় থামতেই চায় না। তাই যখন এ ধরনের সমস্যা দেখা দিবে তখন অবশ্য আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে এবং এই ধরনের কোন কিছু যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়াও যাদের ঠান্ডা তে এলার্জি রয়েছে তারা ঠান্ডা জাতীয় খাবার একেবারে খাবেন না এবং যেখানে গিয়ে আপনার ঠাণ্ডা লাগতে পারে বা ঠান্ডা লাগার কোন সম্ভাবনা থাকে সে সকল জায়গা থেকে দূরে থাকবেন।

যেমন যাদের এসিতে সমস্যা হয় ঠান্ডা লাগে তারা কখনো এসি ঘরে যাবেন না কারণ এই এসির এলার্জি থেকে আপনাদের অতিরিক্ত হাঁচি শুরু হবে এবং সেখানে ঠান্ডা লাগা শুরু হয়ে যাবে। এ সকল বিষয়গুলো অবশ্যই আপনাকে মেনে চলতে হবে আর যাদের ঠাণ্ডাতে এলার্জি রয়েছে তারা গরম পানি খাবার চেষ্টা করবেন সাথে সবসময় গরম পানি রাখারও চেষ্টা করবেন যেন কোনো রকম কোনো ঠান্ডা আপনাকে স্পর্শনা করতে পারে। ঠান্ডার সমস্যা থাকলে গরমের সময়তেই যেকোনো ধরনের ঠান্ডা খাবার খেলে এলার্জি শুরু হয়ে যায় তাই সতর্ক থাকতে হবে।

আশা করছি আপনারা যারা এলার্জির অনেক বেশি সমস্যায় রয়েছেন তারা এই সকল পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করলে একটু হলেও এলার্জি থেকে দূরে থাকতে পারবেন আর এছাড়াও তো ডাক্তারের পরামর্শ রয়েছে এবং ডাক্তারের দেয়া সাজেস্ট করা ওষুধগুলো অবশ্যই নিয়মিত খাবেন তাহলে দেখবেন যে এলার্জি থেকে মুক্তি পাচ্ছেন বা অ্যালার্জির নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছেন। নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য একটু সতর্ক হতে হবে যখনই আপনি সতর্ক থাকবেন তখনই এ ধরনের সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারবেন এবং সুস্থভাবে জীবন যাপন করতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *