পাইলসের ব্যথা কমানোর উপায়
পাইলসের ব্যথা কমানোর জন্য আপনাদের বেশ কিছু উপায় অবলম্বন করতে হবে আপনারা যারা অতিরিক্ত সমস্যায় ভুগেন তারা অবশ্যই এই পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করলে আরাম পাবেন। পাইলস এমন একটি রোগ যেটার কোন বয়স থাকে না এটা যে কোন বয়সের মানুষ তৈরি হতে পারে কিন্তু এটা যখন হয় তখন এতটা যন্ত্রণা হয় যার ফলে মানুষ অতিরিক্ত কষ্ট পেতে থাকে।
পাইলস হলে মলদার অতিরিক্ত ব্যথা হয়ে থাকে আর এই ব্যথা এতটাই কষ্টকর হয় যে মানুষ কোনভাবেই বসেও থাকতে পারে না শুয়ে থাকতে পারে না বা দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না কারণ এটা অনেক বেশি যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতি তৈরি করে। আমরা আজকে আপনাদের জন্য পাইলসের ব্যথা কমানোর কিছু টিপস নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজনটি করেছে তার জন্য আপনাকে আমাদের এই লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে এবং আমাদের সঙ্গে থাকতে হবে শেষ পর্যন্ত।
অনেক মানুষ আছে যারা এই সকল সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের কাছে যেতে চায় না তারা ভাবে যে ডাক্তারের কাছে গেলে এগুলো কিভাবে বলবো বা সঠিকভাবে নিজেদের সমস্যার কথা খুলে বলতে পারে না কিন্তু বর্তমানে অনেক বেশি মহিলা ডাক্তার রয়েছে যাদের কাছে আপনাদের এই সকল সমস্যাগুলো আপনারা নির্দ্বিধায় খুলে বলতে পারেন।
এ সকল সমস্যা নিয়ে যখন আপনি ডাক্তারের কাছে যাবেন তখন ডাক্তার ভালোভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে আপনাকে চিকিৎসা করবে এবং সেটাই হবে সবথেকে ভালো কারণ ডাক্তারের চিকিৎসার উপরে আর কিছু নেই আপনি কোন পজিশনে আছেন এবং কি অবস্থায় আপনার ক্ষতস্থান টা আছে সেটা একমাত্র ভালো বুঝবে ডাক্তার।
এছাড়া যাদের ডাক্তারের কাছে যেতে দেরি হয় এবং যারা ঘরে বসেই ব্যাথাটা একটু কমানোর চেষ্টা করেন তারা অবশ্যই কিছু টিপস ফলো করবেন সব থেকে বড় উপকারী জিনিস হলো বরফ। ব্যথা এবং ফোলা কমানোর জন্য বরফের কোন জরি নাই যখনই আপনি বড় ব্যবহার
করবেন তখনই দেখবেন যে ওই ফোলা অংশটাই ব্যথা কমে যাবে এবং অনেকটা আরাম পাচ্ছেন। কিভাবে বরফ ইউজ করবেন সেটাও একটি জানার বিষয় তা হল একটি গামলার মত বড় পাত্র নিবেন তার মধ্যে বরফের কয়েকটা টুকরা নিবেন এবং বরফের টুকরাগুলো এমনভাবে রাখবেন যেন আপনার ক্ষতস্থান বা মলদ্বারে সে টুকরোগুলো থেকে থাকে।
এতে করে আপনার ব্যথা কমে যাবে এবং সেই জায়গাটার কতটা অনেকটা ভালো হবে এরপরে ওখান থেকে উঠে কোন তুলা বা নরম কাপড় দিয়ে ক্ষতস্থানটা মুছে ফেলবেন যেন কোন রকম ভেজা অংশ না থাকে। এছাড়াও ব্যথা কমানোর জন্য আপনারা এলোভেরা ব্যবহার করতে পারেন অ্যালোভেরার জেলের মতো অংশটা নিবেন এবং সেটা ফ্রিজের মধ্যে রেখে
বরফ তৈরি করবেন তারপরে সেটাও বরফের মতো ক্ষতস্থানে ব্যবহার করবেন এতে করে দেখবেন যে সে জায়গাটা একেবারেই ফোলা কমে গেছে এবং ব্যথাটাও কমছে। এটা আপনি যদি দিনে তিনবার করে থাকেন তবু আপনার ব্যথাটা অনেকটা কমে যাবে এর জন্য আপনার এক্সটা কোন ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না কারণ বরফ অনেক বেশি কাজ করে ব্যথা এবং ফোলা কমানোতে।
যখন আপনাদের কোষ্ঠকাঠিন্য হবে ঠিক তখনই তো পাইলসের সমস্যাটা দেখা দেয় সে ক্ষেত্রে আপনারা একটু অলিভ অয়েল তেল মলদ্বারে দিয়ে বাথরুমে যেতে পারেন এতে করে আপনাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থাকলেও খুব সহজেই সেটা দূর হয়ে যাবে। এ সকল টিপস গুলো আপনাদের ফলো করতে হবে কারণ এগুলো খুবই উপকারী পাইলসের জন্য যারা দীর্ঘদিন থেকে এই সমস্যা রয়েছেন তারা অবশ্যই এ বিষয়গুলো নজরের মধ্যে রাখবেন এবং নিয়মিত এগুলো করার চেষ্টা করবেন।
এছাড়াও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হবে ডাক্তারের কাছে যাবেন কারন মেডিসিন না পড়া পর্যন্ত এই সকল জায়গার ক্ষত ভালো হয় না আবার ক্ষত ভালো হলেও যদি একবার আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয় আবারও সেই আগের অবস্থায় হয়ে যায়। সেজন্য চিকিৎসা নিতে হবে এবং ভালোমতো ভালো ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিলেই তাড়াতাড়ি সুস্থ থাকতে পারবেন।