আঘাতে রক্ত জমার দূর করার উপায়

বিভিন্ন কারণে আমাদের আঘাত লেগে থাকে আর এই আঘাত না সারালে এমন একটি ভয়ংকর রূপ নেয় যে পরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয় মানুষের। অনেকে আছে যারা জানেনা আঘাত থেকে রক্ত জমাট বাধলে কি করতে হবে বা রক্ত জমাট দূর করতে হবে কিভাবে তাই আজকে আমরা এবার আপনাদের সুবিধার জন্য এই আয়োজনটি করেছি।

যেকোনো সময় আঘাত পাওয়া বা যেকোনো দুর্ঘটনায় রক্ত জমাট বেঁধে গেলে সেটা কিভাবে দূর করবেন তা নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজন আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে এই লেখাগুলো পড়ুন এবং সঙ্গেই থাকুন শেষ পর্যন্ত তাহলে সকল তথ্য জানতে পারবেন। ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বড় মানুষ যে কোনো দুর্ঘটনা বা যে কোনো কারণে আঘাত লেগে সেখানে রক্ত জমাট বেঁধে যায় আর রক্ত জমাট বাধার স্থানটি অতিরিক্ত জ্বালাপোড়া করে যন্ত্রণা করে এবং সেখানে কালো হয়ে থাকে। এটার জন্য অনেক সময় অনেকেই মেডিসিন খায় কিন্তু মেডিসিন ছাড়াও এটা ভালো করা যায়।

আবার দেখা গেল যে অনেকেই আছে যারা আঘাত লাগার স্থানে রক্ত জমাট বাঁধলে ভালোমতো গুরুত্ব দেয় না যার ফলে সেটা সেভাবে রাখে এবং আস্তে আস্তে সেখানে ইনফেকশন হয়ে যায় বা অনেক বড় কোন সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেজন্য যেকোনো কারণে আঘাত লাগলে সেই আঘাতে রক্ত জমাট বাধাটা দূর করাটা অনেক বেশি প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। এই বিষয়টা একেবারে হালকা করে নেয়া যাবে না যত দ্রুত সম্ভব রক্ত জমাট বাধার স্থানটি রক্ত দূর করতে হবে এবং রক্ত জমাট যেন না বাধে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আঘাতে রক্ত জমাট বাধা দূর করতে হলে আপনাকে যে সকল কাজগুলো করতে হবে যখন আঘাত লাগে তখন তো হাসপাতালে যাওয়া বা তার কোন কোন মেডিসিন পাওয়া সম্ভব হয় না সে ক্ষেত্রে আপনি কি করতে পারেন।

সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ঘরোয়া উপায়ে কিছু টিপস অবলম্বন করতে হবে যেটা ব্যবহারের ফলে আপনার রক্ত জমা বাধা কমে যাবে আর আপনি যদি কোনভাবে রক্ত জমাট বাঁধাটা দূর না করেন তাহলে সেখান থেকে আপনার অনেক বেশি ব্যথা অনুভব হবে এবং আস্তে আস্তে জায়গাটাতে যন্ত্রণা শুরু হতে পারে। বর্তমানে প্রতিটা ঘরে ঠান্ডা পানি ব্যবস্থা রয়েছে যখন আপনার কোন জায়গাতে আঘাত লাগবে এবং সেখানে রক্ত জমাট বাঁধবে তখন অবশ্যই আপনি ঠান্ডা পানি দিয়ে বা ফ্রিজে থাকা বরফ দিয়ে সে জায়গাটা মেসেজ করতে থাকবেন। আবার যদি ফিরে বরফ না থাকে কিন্তু কোন চামচ যদি ফ্রিজের মধ্যে থেকে থাকে তাহলে সে ঠাণ্ডা চামচটা দিয়েও আপনি রক্ত জমাট বাধার স্থানটি মেসেজ করতে পারেন এর ফলে রক্ত জমাট বাধাটা দূর হবে এবং রক্ত চলাচল শুরু হয়ে যাবে।

রক্ত জমাট বাঁধার স্থানটি যদি আপনি রক্ত জমাট বাধা দূর না করেন তাহলে সেখানকার রক্ত চলাচল করতে পারবে না যার ফলে আপনার সেই অংশটি বা অঙ্গটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এছাড়াও আপনি দাঁত ব্রাশ করার ব্রাশ দিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত স্থানটি মেসেজ করতে পারেন এতে রক্ত চলাচল শুরু হয় এবং রক্ত সঞ্চালনে কোন বাধা পড়ে না। অবশ্যই আপনারা এই কাজগুলো ফলো করবেন কারন হুটহাট করে যে কোন মানুষের দুর্ঘটনা হয়ে যেতে পারে যেকোনো জায়গায় আঘাত লাগতে পারে যার ফলে রক্ত জমাট হয়ে যেতে পারে কিন্তু অনেকে আছে এ বিষয়টা গুরুত্ব দেয় না এবং ভাবে যে হাসপাতালে গিয়ে তারপরে ডাক্তার দেখাবে এতে অনেকটা সময় পার হয়ে যায়।

তার থেকে আপনি ঘরোয়া উপায়ে এই পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করবেন দেখবেন যে আপনাকে আর হাসপাতাল পর্যন্ত যাবার কোন প্রয়োজন নেই ঘরেই আপনার সমস্যার সমাধান হয়ে যাচ্ছে। আঘাতপ্রাপ্ত জায়গাটি যদি অনেক বেশি হয় বা কেটে যায় ছিলে যায় সে ক্ষেত্রে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন ডাক্তারের চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেন তবে যদি রক্ত জমাট বাধা অবস্থায় থাকে তাহলে আপনি এই পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করে রক্ত জমাট বাঁধা দূর করতে পারেন। আশা করছি আপনাদের এই টিপস গুলো অনেক বেশি কাজে লাগবে এবং আপনারা আঘাত পেলেই এই কাজগুলো করলে রক্ত জমাট বাধা থেকে মুক্তি পাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *