চুল পড়া বন্ধের উপায়
চুল পড়া বন্ধের উপায় যারা জানতে চেয়েছেন আমাদের এখানে আপনারা আসলে অনেক বেশি উপায় জানতে পারবেন এবং কিভাবে চুল পড়া বন্ধ করতে হবে কিভাবে নতুন চুল গজাবে সে সকল বিষয়ে জানতে পারবেন। চুল পড়া একটি বড় ধরনের সমস্যা যখনই একটি মেয়ের চুল পড়া শুরু হয় তখন কিন্তু নানা রকম চিন্তা মাথায় চলে আসে এবং এই চুল পড়া কমানোর জন্য নানারকম প্রোডাক্ট ইউজ করা হয় নানারকম উপায় অবলম্বন করা হয়।
কিন্তু যখন কোন কিছুতে কাজ হয় না তখন অনেক বেশি টেনশন হয় কারণ হঠাৎ করে যদি চুল পড়া শুরু হয় এবং সেই চুল পড়া যদি একেবারেই না কমে তাহলে কিন্তু আস্তে আস্তে চুল একেবারেই কমে যায় সে ক্ষেত্রে একটি মেয়ের টেনশন হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই আপনারা যারা চুল পড়া সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন তারা আমাদের ওয়েবসাইটে আসলে এমন কিছু উপায় জানতে পারবেন যেগুলো নিয়মিত ফলো করতে পারলে আপনাদের আর কোনরকম চুল পড়ার সমস্যা থাকবে না এবং আপনাদের নতুন চুল গজাবে।
চুল পড়া বন্ধ করতে হলে প্রথমে আপনাকে জানতে হবে কোন কোন কারণে আপনার চুল পড়ছে বা কিসের জন্য আপনার চুল পড়ছে আপনি যদি কারণটা বুঝে থাকেন তাহলে কিন্তু সেটা না করলে আপনারা চুল পড়বেনা। তবে অনেক মানুষ আছে যারা এটা বুঝে উঠতে পারে না কারণ হঠাৎ করে চুল পড়া শুরু হলে কিসের জন্য সেটা হচ্ছে এটা কিন্তু বুঝে ওঠা যায় না।
তাই আমরা কিছু তথ্য দিচ্ছি আপনাদের সাথে যদি মিলে যায় তাহলে বুঝবেন যে আপনারও এ কারণে চুল পড়া শুরু হয়েছে এবং কি করলে সেটা বন্ধ হবে। অনেক সময় অনেক মানুষ আছে যারা সবসময় মাথায় হিজাব পড়ে থাকে এবং এই হিজাব পরার কারণে চুল পর্যাপ্ত পরিমাণের অক্সিজেন পায় না বা মাথায়ই আলো বাতাসের অভাব পড়ে যায় যার জন্য চুল পড়া শুরু হয়ে যায় এবং চুল পরা কোনভাবে কমেনা।
কারণ যখন আপনি সারাদিন হিজাব পড়ে থাকবেন তখন কিন্তু মাথা ঘামবে এবং ঘামের পরে প্রত্যেকটা গোড়ায় গোড়ায় ঘামগুলো লেগে থাকবে যার ফলে চুলের গোড়া একেবারে নরম হয়ে যায় যার ফলে চুল ভেসে ওঠে। যদি আপনিও এমন করে থাকেন তাহলে হিজাব পরা থাকলেও মাথায় যেন বাতাস লাগে বা হালকা করে হিজাব পড়ার চেষ্টা করবেন তাহলে আর কোনরকম কোন সমস্যা হবে না বা কাছ থেকে এসে হিজাব খুলে আগে মাথাকে ভালোভাবে ধুবেন বা বাতাস লাগাবেন।
যারা এন্টিবায়োটিক ওষুধ খায় তাদের ক্ষেত্রেও কিন্তু ওষুধের সাইড ইফেক্ট এর কারনে চুল পড়া শুরু হতে পারে তাই আপনি কোন ওষুধ খাচ্ছেন এবং সেই ওষুধের ইফেক্ট করছে কিনা সেটা ভালো করে খেয়াল করুন যদি সেই ওষুধে আপনার চুল পড়া শুরু হয় তাহলে সেটা ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। অনেক সময় অনেক মানুষ আছে যারা পার্লারে গিয়ে চুলের যত্ন নিতে চাই তারা ভাবে পার্লারে গেলে হয়তো চুলের যত্ন ভালোভাবে নেয়া সম্ভব।
কিন্তু এটা ভুল আপনি যখন পার্লারে যাবেন চুলের যত নেয়ার জন্য বা শ্যাম্পু করার জন্য তখন তারা এমন কিছু কেমিক্যাল পণ্য আপনার চুলে লাগাবে যেটার জন্য আপনার চুলের অনেক বেশি ক্ষতি হবে হয়তো তখন আপনার চোখে দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগবে কিন্তু পরবর্তী সময়ে সেটার ইফেক্ট তুলে পড়বে। তাই পার্লারে গেলে অবশ্যই জেনে নেবেন কোন প্রোডাক্ট ইউজ করছে এবং সেটা আপনার চুলের জন্য কতটা উপকারী।
এছাড়া অনেকেই রয়েছে যারা নিয়মিত চুলে তেল দেয় না চুললে তেল দিতে একেবারেই পছন্দ করেনা কিন্তু তারা যদি এটা রেগুলার করতে থাকে তাহলে কিন্তু চুল পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি পায় না। সেজন্য নারিকেল তেল হোক বা অলিভ অয়েল হোক নিয়মিত মাথায় লাগাতে হবে যদি অতিরিক্ত ব্যস্ততার মধ্যে চলে যত্ন নেয়া না যায় তারপরেও চুলে তেল দেয়ার চেষ্টা করতে হবে তাহলেই চুল পড়া রোধ করা সম্ভব হবে।