পাইলসের রক্ত পড়া বন্ধের উপায়

পাইলসের রক্ত পড়া বন্ধের কিছু উপায় রয়েছে আপনারা যারা এই সমস্যায় রয়েছেন তারা অবশ্যই আমাদের এই লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন তাহলে সকল বিষয়ে সঠিকভাবে জানতে পারবেন এবং হঠাৎ করে যদি এই সমস্যাটা শুরু হয়ে যায় তাহলে আপনারা তৎক্ষণার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। এটা একটি জটিল সমস্যা কোন বয়সের মানুষের হয় না সেটা বলা যায় না।

এই সমস্যাটা অনেক সময় অনেক ছোট বাচ্চাদেরও হয় আবার বৃদ্ধ বয়সে হয় তবে বর্তমানে বেশি দেখা যায় ইয়াং জেনারেশনের। কারণ যখন মানুষ পর্যাপ্ত পরিমাণের সঠিকভাবে পুষ্টিকর খাবার খায় না আবার নিয়ম করে চলাফেরা করে না ঠিক তখনই এই সমস্যাটা বেশি হয় আর এই সমস্যার প্রথম লক্ষণ হচ্ছে কনস্টিপেশন। যখন আপনাদের অতিরিক্ত কনস্টিপেশন হবে তখন কিন্তু আপনারা পাইলস বা ফিস্টুলার সমস্যার মধ্যে পড়ে যাবেন।

আপনারা অনেকে জানেন না যে পাইলস হলে কেমন হয় বা অনেকে জানেন না যে কিভাবে বুঝবেন যে আপনার পাইলসের সমস্যা হচ্ছে সেক্ষেত্রে আমরা এবার এমন কিছু তথ্য দিতে চলেছি যেগুলো পড়লে আপনারা খুব ভালোমতো বুঝতে পারবেন যে কোন কোন লক্ষণ এর মাধ্যমে পাইলস বোঝা যায়। যখন একটি মানুষের এই সমস্যাটা হয় তখন কিন্তু মলত্যাগের সময় তার মলদ্বার ফেটে যায় এবং সেখান থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে থাকে একেবারে টাটকা রক্ত লাল কালারের সেটা বের হতে থাকে।

যখন একবার এ সমস্যাটা হয় তারপরে বারবার বাথরুমে গেলে এই ধরনের সমস্যা দেখা দেবে তাই আপনাদের একটু সতর্ক থাকতে হবে কারণ যাদের পাইলস রয়েছে তারা যেন সবসময় নরম খাবার খায়। মলত্যাগের সময় যতবার আপনার মলদ্বারে আঘাত লাগবে ততবারই কিন্তু রক্ত বের হবে যার ফলে আপনার শরীর একেবারে দুর্বল হয়ে পড়বে এবং শরীরে কোন রকম এনার্জি পাবে না আবার আপনি যে কোন খাবার খাবেন সেই খাবারগুলো খেতে আপনার ভয় লাগবে কারন ভাবতে পারেন যে এই খাবারগুলো খেলে আবারও এই সমস্যাটা হতে পারে।

পাইলস হলে রক্ত বন্ধ হওয়ার কিছু উপায় আছে যেমন কয়েক টুকরা বরফ একটা পরিষ্কার কাপড়ে নিয়ে সেটা আপনি ক্ষতস্থানে দিয়ে রাখতে পারেন এতে করে আপনার ক্ষতস্থানের ফোলা ভাবটা কমে যাবে ব্যথা কমে যাবে এবং রক্ত পড়াও কমে যাবে। আপনি যতক্ষণ না মলত্যাগের জন্য চাপ দিবেন ততক্ষণ পাইলসের রক্ত বের হবে না যখনই আপনি চাপ দিতে শুরু করবেন তখন কিন্তু অতিরিক্ত রক্ত পড়তে থাকবে সে ক্ষেত্রে রক্ত বন্ধ করাটা অনেক বেশি প্রয়োজন। স্বাভাবিক অবস্থায় থাকলে কোনভাবে রক্ত পড়বে না তবে যতবার আপনি বাথরুমে যাবেন ততবারই এই সমস্যাটা দেখা দেবে।

রক্ত বন্ধ করার জন্য কিছু মলম রয়েছে যেগুলো পাইলস হলে ব্যবহার করা হয় আপনাদের নিকটস্থ হাসপাতাল বা যে কোন ফার্মেসি থেকে আপনারা এই সকল মলমগুলো নিজেদের কাছে রাখতে পারেন এবং যখনই আপনাদের ফিস্টুলার সমস্যা দেখা দেবে তখনই আপনি সেই মলমটা ব্যবহার করতে পারেন যার ফলে আপনাদের রক্ত পড়াটা কমে যাবে। এ ধরনের সমস্যার জন্য মানুষ বিভিন্নভাবে ঘাবড়ে যায় এবং সহজে ডাক্তারের কাছে যেতে চাই না বা নানারকম চিন্তায় পড়ে যায় সে ক্ষেত্রে কিন্তু আস্তে আস্তে সমস্যাটা বৃদ্ধি পেতে থাকে কারণ যতদিন না আপনার ক্ষত সারবে ততদিন আপনাদের মলত্যাগের সময় এই সমস্যাটা হবে।

সেজন্য সব থেকে বড় উপায় হবে ডাক্তারের কাছে যাওয়া কারণ যখন আপনি ডাক্তারের কাছে যাবেন তখন ভালো মতো পরীক্ষা নিরীক্ষা করবে এবং তারপরে আপনাকে চিকিৎসা দেবে যার ফলে আপনার সমস্যা খুব তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যাবে। বর্তমানে পাইলসের সমস্যা হলো নানারকম ভাবে ভালো করা যায় যেমন আধুনিক চিকিৎসার মাধ্যমে রক্তপাত বিহীন অপারেশন করা হয় যার ফলে খুব বেশিদিন মানুষকে কষ্ট করতে হয় না খুব অল্প সময়ের মধ্যে সুস্থ থাকতে পারে। এই সকল বিষয়গুলো তো গুরুত্ব দিতে হবে না হলে আরো বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে আশা করছি আপনারা এ বিষয়গুলো বুঝতে পেরেছেন এবং সঠিকভাবে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ থাকতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *