নয় মাসে গর্ভবতী বাচ্চার ওজন

৯ মাসের গর্ভবতী বাচ্চার ওজন যেভাবে আপনারা দেখবেন বা বুঝতে পারবেন তার জন্য আমাদের এখানে কিছু নিয়ম রয়েছে যা দেখলে আপনারা খুব ভালোভাবে বুঝতে পারবেন যে বাচ্চার ওজন ঠিক কতটা হয়েছে। নয় মাসের গর্ভবতী বাচ্চারা ঠিক কতটা সুস্থ রয়েছে তা তাদের ওজন এবং নড়াচড়া থেকে বোঝা যায় এবং আপনি যখন সঠিক পরিমাপের খাদ্য গ্রহণ করবেন তখন আপনার বাচ্চার ওজন বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার বাচ্চা সুস্থ থাকবে।

একটি গর্ভবতী মা সাধারণত ১১ থেকে ১৬ কেজি ওজন বৃদ্ধি পায় গর্ভবতী অবস্থায় এই সময় সে যতই খাবার-কাক না কেন এতটা ওজনই তার বৃদ্ধি পাবে। তবে একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যে মায়ের ওজন আগে যেমন ছিল ঠিক তার থেকে ১১ থেকে ১৬ কেজি ওজন বৃদ্ধি পাবে। তবে এই ওজনটা সম্পূর্ণ বাচ্চার হবে এমনটা নয় মায়ের ওজনের পাশাপাশি কিছুটা বাঁচার ওজন থাকবে বাচ্চার একটি স্বাভাবিক ওজন হল সাড়ে তিন কেজি হলে সে পারফেক্ট আছে। যখন কোন মায়ের বাচ্চা সাড়ে তিন কেজি ওজন হয় তখন বোঝা যায় যে সে বাচ্চাটা সুস্থ আছে পেটের মধ্যে আর যখন কোন মায়ের পেটের বাচ্চা একেবারেই কম ওজনের হয় তখন বুঝতে হবে যে বাচ্চাটার কোন সমস্যা রয়েছে।

একটি বাচ্চা সুস্থ ভাবে জন্মগ্রহণ করতে হলে তার মায়ের তুলনার হয় না মায়ের ওপর দিয়ে অনেক কষ্ট যায় এবং সেই কষ্ট শেষ করার পরে বাচ্চাটা সুষ্ঠুভাবে দুনিয়াতে আসতে পারে। একটি বাচ্চাকে জন্মগ্রহণ দেওয়ার সময় মাকে অনেক কষ্ট করতে হয় অনেক কিছু ত্যাগ করতে হয় এবং নিজের অনেক পছন্দের বিষয় বা ভালোলাগার কোন খাবার থাকলে সেটা খাওয়া যায় না শুধুমাত্র বাচ্চার ভালো থাকার জন্য। আপনারা কিভাবে বুঝবেন যে নয় মাসের বা বাচ্চার ওজন ঠিক কেমন হয় বা কতটা হওয়া উচিত তার জন্য অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

নয় মাসের গর্ভবতী মাকে নিয়মিত ডাক্তারের চেকআপের মধ্যে থাকতে হবে কারণ এই সময় হঠাৎ করে ডেলিভারি পেন উঠতে পারে বা সিজার করে নিতে হতে পারে যখন আপনি নিয়মিত ডাক্তারের কাছে যাবেন এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে থাকবেন তখন ডাক্তারের বলে দিবে যে আপনার বাচ্চা কেমন আছে এবং তার ওজন কতটা হয়েছে। বাচ্চাদের ওজন জানা থাকলে অনেক বেশি ভালো হয় কারণ বাচ্চাদের ওজনের উপর নির্ভর করে নরমাল ডেলিভারি হবে নাকি সিজার হবে তার ওপর।

যদি মা এবং বাচ্চা দুজনের কন্ডিশন ভালো থাকে তাহলে অনেক সময় নরমালে ডেলিভারি হয়ে যায় কিন্তু এ নরমাল ডেলিভারি করতে হলে আরো অনেক কিছু সমস্যা দেখা দেয় যেমন অনেক সময় নরমাল ডেলিভারি করতে গেলে সাইড কেটে দেয়। যা একটি মায়ের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর সেজন্য অবশ্যই আপনাদের জানতে হবে এ সকল বিষয়ে কারণ অনেকে আছে যারা নরমাল ডেলিভারি নেশায় নিজেদের অনেক ক্ষতি করে ফেলে।তবে আপনার বাচ্চার ওজন যদি অনেক বেশি হয় তাহলে নরমাল ডেলিভারির কন্ডিশন নাও থাকতে পারে সে ক্ষেত্রে আপনাকে সিজার করা লাগতে পারে।

আপনারা যখন আল্ট্রাসনোগ্রাফি করবেন তখন আপনাদের বাচ্চার হার্টবিট এবং বাচ্চা কত বড় হয়েছে সে সকল গুলো কম্পিউটারের মাধ্যমে দেখতে পাবেন যা দেখা থাকলে আপনি বুঝবেন যে আপনার কন্ডিশন ঠিক কেমন এবং আপনি কিভাবে বাচ্চাটি ডেলিভারি করাতে চাইছেন। এসবের বিষয়গুলোতে ধারণা থাকলে আগে থেকে মানুষের মধ্যে একটি জোর আসে এবং কোনো রকম কোনো দুর্ঘটনার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। অনেক সময় অনেকের নিয়মিত ডাক্তারের কাছে যায় না চেকআপ করা না যার ফলে তারা নরমাল ডেলিভারি করাতে যায় এবং এতে মা ও বাচ্চা দুজনেরই ক্ষতি হয়।

তাই এ সকল বিষয়গুলোর উপর সতর্ক থাকতে হবে আপনার বাচ্চার কতটা ওজন এবং কোন পজিশনে আছে সেগুলো জানা থাকলে আপনি খুব সহজে নরমাল ডেলিভারি হোক বা সিজার হোক যেটাই হোক করতে পারবেন। আমরা চাই আপনারা সুস্থ থাকুন এবং সঠিকভাবে আপনাদের বাচ্চাকে ডেলিভারি করান এবং ডেলিভারির পরে যেন আপনার বাচ্চা সুস্থ থাকতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *