গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ গুলো কি কি

গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ গুলো কি কি অনেকেই জানেনা তাই আমরা এবার আপনাদের সুবিধার জন্য গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ গুলো নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজনটি করেছে আপনারা আমাদের এই লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়লে সকল তথ্য জানতে পারবেন এবং এই বিষয়গুলো জেনে রাখা কত বেশি প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারবেন।

একটি মেয়ে যখন গর্ভবতী হয় তখন প্রথম সপ্তাহ থেকে তার মধ্যে পরিবর্তন চলে আসে এবং নানা রকম লক্ষণের মাধ্যমে বোঝা যায় যে সে মানুষটি প্রেগন্যান্ট। যখন এই বিষয়গুলো আপনারা জেনে থাকবেন তখন একটি প্রেগন্যান্ট মহিলাকে যত্ন করা আপনাদের আরো সহজ হবে কারণ না জেনে যদি আপনারা প্রেগনেন্ট মহিলাকে সঠিকভাবে পরিচর্যা বা যত্ন না নেন তাহলে তার গর্ভের বাচ্চার অনেক সময় ক্ষতি হতে পারে সেজন্য সকল বিষয়ে সবার সতর্ক ও জানা প্রয়োজন।

আমরা আপনাদের সুবিধার জন্য এবারের আয়োজনটি করেছি কারণ আমরা জানি যে যারা প্রথমবার গর্ভবতী হয় তারা অনেক কিছু জানেনা এবং এই অজানা থেকে অনেক ক্ষতি হয়ে যায় বা বিপদে সম্মুখীন হতে হয়। গর্ভবতী হওয়ার প্রথম মাস থেকে বেশ কিছু লক্ষণ দেখা দেয় যেমন প্রথম সপ্তাহের লক্ষণটি এমন হবে যে জরায়ু থেকে পিচ্ছিল আকারে থকথকে কিছু বস্তু বের হবে যেটা আপনাদের অন্তর বাসের লেগে থাকতে পারে এবং সেটা বুঝে নিতে হবে।

এ বিষয়টি আপনাদের খেয়াল করতে হবে কারণ এই সময় হরমোনাল কিছু পরিবর্তনের জন্য এই ধরনের কিছু পদার্থ শরীর থেকে নিঃসরণ হয় যা দেখে বুঝতে হবে যে একটি মানুষ হচ্ছে বা তার গর্ভে বাচ্চা আছে। এছাড়াও প্রথম সপ্তাহ থেকে মাথা ঘোরা এবং গা গুলানো সমস্যা দেখা দেবে।

আপনি যেকোন কাজ করতে গেলে হঠাৎ করে আপনার বমি বমি ভাব লাগবে বা যে কোন গন্ধ আপনি নিতে পারবেন না তাতে আপনার অস্বস্তি হবে ও বমি চলে আসবে যদি আপনার পছন্দের কোন খাবার হয় তারপরও সেটা গন্ধ লাগতে পারে। প্রথম অবস্থায় ঘনঘন মাথা ব্যথা হতে পারে এবং এই মাথাব্যথা অতিরিক্ত যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে সে ক্ষেত্রে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এবং চিকিৎসা নিতে হবে।

শারীরিক অসুস্থতা দেখাবে প্রথম থেকেই কারণ যখন একটি মানুষ প্রেগন্যান্ট হবে তখন তার মধ্যে নানা রকম ভাবে পরিবর্তন দেখা দিবে তার মেজাজ হয়ে থাকতে পারে। গর্ভাবস্থায় প্রথমদিকে কোনরকম খাবারের রুচি থাকে না যেটা খাওয়া হয় সেটা বমি চলে আসে বা সেটা খেতে ভালো লাগে না। আস্তে আস্তে অবশ্য এ বিষয়গুলোর পরিবর্তন ঘটে আস্তে আস্তে খাবার চাহিদা বাড়ে পুষ্টিকর খাবার খেতে ভালো লাগে যেন বাচ্চা সুস্থ থাকে আবার আস্তে আস্তে মাথা ব্যথা কমে যায় কোন রকমের বমি হয় না।

তবে এই সকল বিষয়গুলো তখনই বন্ধ হবে যখন আপনি ডাক্তারের কাছে যাবেন এবং নিশ্চিত হবেন যে আপনি প্রেগন্যান্ট তার পরে যখন ডাক্তার আপনাকে কিছু নিয়ম দিবে সেগুলো ফলো করে চলতে থাকলে আপনার এই সমস্যাগুলো দূর হয়ে যাবে। গর্ভবতী হওয়ার দ্বিতীয় মাস থেকে আপনার বেস্ট এর কিছু পরিবর্তন চলে আসতে পারে আস্তে আস্তে আপনার পেটের পরিবর্তন হবে কারণ যখন ভেতরে বাচ্চাটি বড় হতে শুরু করবে তখন আপনার পেট বড় হতে থাকবে সেই ক্ষেত্রে আপনার এই পরিবর্তনগুলো চলে আসবে।

গর্ভবতী হওয়ার পর প্রথম তিন মাস এবং শেষের তিন মাস অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি সময় কারণ এই সময়ের মধ্যে নানা রকম বিপদ চলে আসতে পারে আবার এই সময়ের মধ্যে একটি বাচ্চার পরিপূর্ণতা চলে আসে সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। গর্ভবতী হওয়া এত বেশি সহজ নয় একটি মেয়ের জন্য অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ হয় এ সময়টা তারপরেও মা হওয়ার জন্য সবাই এই কষ্টটা সহ্য করে নেয়।

সেজন্য গর্ভবতী অবস্থায় গর্ভবতী মাকে কোনরকম টেনশন দেবেন না এবং তার সাথে সবসময় ভালো ব্যবহার করবেন সে যেন কোন রকম আঘাত না পায় সেদিকেও খেয়াল রাখবেন। সবাই মিলে গর্ভবতী মাকে যত বেশি যত্নে রাখবেন গর্ভের সন্তানটি ঠিক তত বেশি ভালোভাবে দুনিয়াতে আসতে পারবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *