মাসিক হলে কি কি করা যাবে না

মাসিক হলে কি কি করা যাবে না এটা কিন্তু আপনাদের সকলের জানা প্রয়োজন কারণ যখন একটি মেয়ের মাসিক হয় তখন কিন্তু তার শারীরিক অবস্থা মানসিক অবস্থা দুটোই অন্যরকম থাকে সেই সময় যদি যে সকল কাজগুলো থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে সেগুলো সে করে তাহলে কিন্তু শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই আজকে আমরা আপনাদের জানাবো মাসিক হলে কোন কোন কাজ থেকে আপনাদের দূরে থাকতে হবে।

প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর থেকে একটি মেয়ে মানুষের মাসিক হওয়া শুরু করে আর এটা সাধারণ নিয়মে চলতে থাকে একেবারে বুড়ো হওয়া পর্যন্ত। একটি সময় গিয়ে কিন্তু মাসিক বন্ধ হয়ে যায় এর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত মেয়ে মানুষের বাচ্চা নেওয়া থেকে শুরু করে সকল কাজ সম্পন্ন হয়। স্বাভাবিক নিয়মে প্রতি একমাস পর পর মাসিক হয় কিন্তু কিছু ব্যতিক্রমের জন্য হয়তো কিছুদিন পর পর হতে পারে আবার অন্য কোন সমস্যার জন্য মাসে দুই থেকে তিনবার হতে পারে।

তবে এই সমস্যাগুলো অবশ্যই আপনাদের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং চিকিৎসা করতে হবে কিন্তু আজকে আমরা যে বিষয়ে আলোচনা করব তার জন্য আপনাকে আমাদের এই লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে ও শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকতে হবে। মাসিক হলে অনেক কিছু করা যাবে না তবে কি কি করা যাবে না সে সকল বিষয়গুলোই আজকে আমরা জানাবো। আপনারা যদি এ বিষয়গুলো একটু মনোযোগ দিয়ে মানতে পারেন তাহলে দেখবেন যে মাসিক হওয়া অবস্থায় আপনাদের কোন রকম কষ্ট হচ্ছে না এবং আপনারা এই সাতটা দিন অনেক সুন্দর ভাবে পার করতে পারছেন।

সাধারণত মাসিক শুরু হওয়ার পর থেকে সাত দিন থাকে অনেক সময় অনেকের কম থাকে আবার অনেক সময় এই সাত দিন থাকে।এই সাত দিনের মধ্যে একটি মেয়ে মানুষের অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয় কারণ মাসিকের যে ব্যথাটা হয় সে ব্যথাটা কিন্তু অতিরিক্ত হয় এই ব্যথা কোনভাবে কমানো সম্ভব হয় না।

অনেক ওষুধ রয়েছে যেগুলো খেলে হয়তো ব্যথাটা কমে যায় কিন্তু প্রতিমাসে যখন একটি মেয়ের এই ব্যথা উঠে তখন কিন্তু সবকিছু থেকে কষ্টকর মনে হয়। মাসিক যেতে না হয় সেদিন থেকেই অতিরিক্ত ব্যথা শুরু হয় সেজন্য যে তিন মাসিক শুরু হবে সেদিন ভারী কোন কাজ করবেন না বা দৌড়ঝাপ করবেন না যতটা পারেন রেস্টে থাকার চেষ্টা করবেন বা শুয়ে থাকার চেষ্টা করবেন।

মাসিক হওয়ার পরে যত তাড়াতাড়ি করবেন ততই সমস্যা হবে বা তত ব্যথা বেশি হবে সেজন্য যখন আপনি শুয়ে থাকবেন আর যদি আপনার ভেতর অতিরিক্ত ব্যথা হতে থাকে তাহলে হয়তো গরম পানির সেক আপনি আপনার পেটে দিতে পারেন এতে করে ব্যথাটা অনেকটা কমবে।

এছাড়াও নাপা বা প্যারাসিটামল ওষুধ আপনারা খেতে পারেন এটা ব্যথাটা অনেকটা কমায়। তবে যখন মাসিক হয় সে সময়টাই কিন্তু মাসিক বন্ধ হওয়ার ওষুধ খাওয়া একেবারে উচিত নয় অনেকে ভাবে যে অতিরিক্ত ব্লাড যাচ্ছে সেক্ষেত্রে কিছু ওষুধ খেয়ে নিই তাহলে হয়তো ব্লাডটা কম যাবে কিন্তু না আপনাদের প্রয়োজন না পড়লে আপনারা একেবারে ব্লাড বন্ধ হওয়ার ওষুধ খাবেন না।

এতে করে কিন্তু শরীরের ক্ষতি হয় কারণ যখন আপনার ভেতরে ওই রক্তগুলো থাকবে ওই রক্তগুলো তো বের না হওয়া পর্যন্ত আপনার শরীরের জীবাণু বের হবে না সেজন্য ওইগুলো বের হয়ে যায় সব থেকে উত্তম কাজ। তাই মাসিক বন্ধ হওয়ার জন্য কোনরকম কোন ওষুধ খাবেন না যতটা পারেন স্বাভাবিক নিয়মেই মাসিক যেন হয় সেটা চেষ্টা করতে হবে।

মাসিক হওয়ার পরে এমন কোন কাজ করবেন না যে এটাতে আপনার শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে যায় যেমন আপনার যেটা খেতে ইচ্ছা করবে না সেটা আপনি জোর করে খাবেন না তবে যে সকল খাবারগুলোতে রক্ত হয় বা পুষ্টি রয়েছে সে সকল খাবারগুলো খাওয়ার চেষ্টা করবেন। মাসিক হওয়ার পরে সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবেন একেবারেই নোংরা কাপড় বা নোংরা প্যাট বেশিক্ষণ ব্যবহার করবেন না এতে করে ইনফেকশন হয়েছে আর ভয় থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *