গর্ভবতী অবস্থায় সহবাস ইসলাম কি বলে

গর্ভবতী অবস্থায় সহবাস করা যাবে কিনা এমনটা অনেকেরই অজানা তাই আপনারা যারা এ বিষয়গুলো জানতে চান তারা আমাদের এই লেখাগুলো পড়লে বুঝতে পারবেন। গর্ভকালীন অবস্থায় সহবাস করা যায় কিনা এটা ইসলামে যা বলা রয়েছে সেটা জানতে হলে আপনাকে আমাদের এই লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে কারণ এমনটা যদি আপনারা সঠিকভাবে না জেনে থাকেন তাহলে নানা রকম ভাবে সমস্যায় বা নিজেদের মনের সন্দেহ হতে পারে।

গর্ভকালীন অবস্থায় সহবাস করা যায় যদি সেটা গর্ভবতী মহিলা রাজি থাকে তাহলে। গর্ভবতী মহিলা যদি রাজি থাকে তাহলে যেকোনো সময়ই সহবাস করা যেতে পারে কারণ এতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা না। তবে প্রথম তিন মাস এবং শেষের তিন মাস অনেক বেশি সেনসিটিভ এই সময়টা অনেক বেশি সাবধানতার সাথে পার করতে হয়। গর্ভকালীন অবস্থায় প্রথম তিন মাসে বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাওয়ার চান্স থাকে তাই এই তিন মাসে যদি কেউ সহবাস করে তাহলে অনেক সতর্কতার সাথে করতে হবে কারন পেটে যদি জ্বরে আঘাত লাগে তাহলে বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাওয়ার চান্স থাকে সেজন্য সবকিছু জানতে হবে।

গর্ভকালীন অবস্থায় মেয়েদের অনেক কিছু মেন্টেন করতে হয় যেমন খাদ্য তালিকা। গর্ভকালীন অবস্থায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কি কি খাবার খেতে হবে এবং কোন কোন খাবার খেলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি পাওয়া যাবে সেগুলো জানতে হবে। কারণ এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে বাচ্চা নষ্ট হয়ে যেতে পারে সেজন্য গর্ভকালীন অবস্থায় সে সকল খাবার খেতে হবে না এবং কিছু কিছু কাজ করা যাবে না যাতে পেটে আঘাত না লাগে এবং বাচ্চা নষ্ট না হয়ে যায়।

যখন থেকে একটি মেয়ে বুঝতে পারে সে প্রেগন্যান্ট তখন থেকেই তাকে সাবধানে থাকতে হয় কারণ প্রথম তিন মাস একটু এদিক-সেদিক হলে বাচ্চা নষ্ট হয়ে যেতে পারে সেজন্য এই তিন মাসকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি সময় বলা হয়। এই তিন মাসে ভারি কোন জিনিস ছাড়া যাবে না এবং অতিরিক্ত হাঁটাহাঁটি করা যাবে না এবং এই তিন মাসে টেনশন করা যাবেনা পর্যাপ্ত পরিমাণের পানি খেতে হবে খাবার খেতে হবে এবং পুষ্টিকর খাবার খেয়ে শরীরে এনার্জি তৈরি করতে হবে।

এছাড়া গর্ভকালীন নয় মাস মহিলাদের অনেক কিছু পরিত্যাগ করতে হয় যেমন অনিয়মিত ঘুম অতিরিক্ত টেনশন অতিরিক্ত গরমে থাকা বা শারীরিক অসুস্থি এমন কোন বিষয় হলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এবং চিকিৎসা নিতে হবে। যখন নিয়মিত ডাক্তারের চিকিৎসা নেয়া যাবে তখনই সুস্থ স্বাভাবিক একটি বাচ্চা জন্মগ্রহণ দেওয়া যাবে। তবে আর একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে গর্ভকালীন অবস্থায় শেষের তিন মাসও কিন্তু অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ এমন অবস্থায় যদি পেটে আঘাত লাগে বা কোন কারণে গর্ভবতী মা পড়ে যায় তাহলে অনেক সমস্যা হয়।

অনেক সময় অতিরিক্ত প্রেসারের কারণে ব্লিডিং শুরু হয়ে যায় আর যখনই এই ব্লিডিং শুরু হয় তখন বুঝতে হবে যে গর্ভকালীন অবস্থায় মা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে কারণ ব্লিডিং শুরু হলে তাকে সেই অবস্থায় সিজার করতে হবে বা ডেলিভারি করাতে হবে। তাই এ সকল বিষয়গুলো সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে এবং বুঝে বুঝে কাজ করতে হবে কোনরকম কোন ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করা যাবে না এবং বাচ্চা যেন সুস্থ থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

তাই আপনারা যারা গর্ভকালীন অবস্থায় সহবাসের বিষয়টা জানতে চেয়েছেন তারা অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন যে ইসলামে জায়েজ রয়েছে গর্ভকালীন অবস্থায় সহবাস করা। তবে সহবাসের সময় যেন গর্ভবতী সুস্থ থাকে এবং তার যেন কোনো রকম কোনো ক্ষতি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

কারণ এমন সময় যদি বাঁচা আঘাত পায় তাহলে সেই বাচ্চা অনেক সময় অটিজম বা প্রতিবন্ধী হয়ে জন্মগ্রহণ করতে পারে সেজন্য সতর্ক হতে হবে। এই বিষয়গুলো যাতে জানা নাই তারা সঠিকভাবে জেনে নেবেন তাহলে গর্ভকালীন অবস্থায় বাচ্চার কোন ক্ষতি হবে না এবং বাচ্চা সুস্থ ভাবে জন্মগ্রহণ করতে পারবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *