মাসিক কি এটা কেন হয়

মাসিক কি এটা কেন হয় আপনারা যারা জানতে চেয়েছেন তারা এ বিষয়টা জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটের লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং আমাদের সঙ্গেই থাকুন। এই বিষয়গুলো সবার জানা প্রয়োজন কারণ মাসিক কি সেটা কেন হয় এবং মাসিক হলে কি হয় শরীরের জন্য এটা কতটা উপকারী এ সকল বিষয় নিয়ে এবার আমরা কিছু তথ্য আপনাদের জন্য সাজিয়েছি।

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনারা যেকোনো সমস্যার সমাধান খুঁজে পাবেন আমরা আপনাদের সুবিধার জন্য সব রকম প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আমাদের আয়োজন করে থাকে। যখন আপনাদের মধ্যে অনেক বেশি প্রশ্ন থাকে মাসিক কেন হয় এবং এটা প্রতি মাসে কিসের জন্য হয় সে সকল বিষয়গুলো যদি জানা থাকে তাহলে কিন্তু আপনাদের কৌতুহল একটু কম হয়। নিজেকে সুস্থ রাখতে হলে কিছু বিষয় কিন্তু জেনে রাখা অনেক বেশি প্রয়োজন আর আপনারা যারা রয়েছেন মাসিকের সমস্যা নিয়ে তারা অবশ্যই আমাদের এখান থেকে সকল বিষয়ে সঠিকভাবে জেনে নেবেন।

প্রতিটা মেয়ের পর্যাপ্ত একটি বয়সের পরে মাসিক শুরু হয় আর এটা স্বাভাবিক নিয়মেই হয়। মাসিক হওয়ার মাধ্যমে বোঝা যায় যে সেই মেয়েটা তারপর বয়সের একটি পরিবর্তন। প্রতিটা মেয়ের বয়সন্ধিকাল হয় আর এই বয়সন্ধিকালে কিন্তু মেয়েদের মাসিক হয় সেক্ষেত্রে অবশ্যই এই সময়টা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি মেয়ের জন্য। কিন্তু অনেক সময় নানা রকম সমস্যার জন্য মাসিক হওয়ার পরে মেয়েদের মাসিক বন্ধ হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে তারা ডাক্তারের কাছে যায় নানা রকম চিকিৎসার চেষ্টা করে অনেক সময় অনেকের ভালো হয় আবার অনেক সময় অনেকেরই সমস্যাটা থেকে যায়।

মাসিক হলো একটি চক্র যেটা প্রতিটা মেয়ে মানুষের প্রতি মাসে হয় এটা মেয়েদের জরায়ুতে ডিম্বাকৃতির মত একটি ছোট বলের মতো তৈরি হয় তারপরে সেটা প্রতি একমাস পরে ভেঙে যায় আর যখন সেটা ভেঙে যায় তখনই জরায়ুর পথ দিয়ে রক্ত বের হয়ে আসে। যখন জরায়ুর পথে রক্ত বের হয়ে আসে তখন ওই মেয়েটার মধ্যে নানা রকম পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় মেয়ে শারীরিক গঠন পরিবর্তন হয়ে যায়। মাসিক হওয়ার মাধ্যমে একটি মেয়ের শরীরের বর্জ্য রক্ত গুলো বের হয়ে যায় এই সময়ই জরায়ু সংকুচিত হয় যার ফলে সঠিকভাবে শরীরের সকল রক্ত বের হয়ে আসতে পারে।

প্রতিটা মানুষের শরীরে তিন মাস পর পর রক্তের পরিবর্তন হয় কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রে একটু আলাদা হয় কারণ যখন মাসিক হয় তখন কিন্তু শরীরের বর্জ্য রক্ত গুলো বের হয়ে যায় পরবর্তী সময়ে আবার রক্ত তৈরি হয় এটার মাধ্যমে মেয়েদের শারীরিক অবস্থার গঠন পরিবর্তন হয় এবং মেয়েরা সুস্থ থাকে। বয়স্ক হওয়া পর্যন্ত এই প্রক্রিয়াটা চলতেই থাকে তাই এটার মাধ্যমে মেয়েদের নানারকম সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। মাসিক হয় বলে একটি মেয়ে মানুষ বাচ্চা নেয়ার জন্য পরিপূর্ণতা পায় কারণ মাসিক হওয়ার পরেই যদি সহবাস করা হয় তাহলে কিন্তু পেটে বাচ্চা চলে আসে সে ক্ষেত্রে মাসিকটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিবাহিত মেয়ের জন্য।

অনেক সময় মাসিক হওয়ার পরে মাথা ঘোরার ভাব হয় বমি বমি ভাব হয় তখন এমনটা হওয়ার কারণ হচ্ছে যখনই ভেতর থেকে জমাট বাধা রক্তগুলো জরায়ু দিয়ে বের হয়ে আসার চেষ্টা করে তখন অবস্থা একটু খারাপ হয়ে যায়। তাই মাসিক হওয়ার সময় খুবই গুরুত্ব সহকারে থাকতে হবে এবং সতর্কতার সাথে ওই সাত দিন পার করতে হবে সাধারণত প্রতিটা মেয়েদেরই মাসিক সর্বনিম্ন ৭ দিন পর্যন্ত থাকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর বেশি হতে পারে আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে এরকম হতে পারে।

তাই মেয়েদের প্রতি সদাই হতে হবে এবং যখন তাদের মাসিক হবে পরিবারের সবাই যেন তার খেয়াল রাখে তার যেন কোনো রকম সমস্যা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে কারণ একটি মেয়ে সে সময় কিন্তু অনেকটা কষ্ট সহ্য করে। সেজন্য এ সকল বিষয়ে যে কোন সমস্যা হলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যাবেন যোগাযোগ করবেন এবং সঠিকভাবে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *