গর্ভবতী মায়ের কোন মাসে কোন আমল

গর্ভবতী মায়ের কোন মাসে কোন আমল করা উচিত এ বিষয়ে জানতে হলে আমাদের সাথে থাকুন কারণ আমরা এবার আপনাদের জন্য কোন মাসে কোন আমল করতে হয় এবং কিভাবে একটি গর্ভবতী মা পুরো দশ মাস পার করবে সে সকল বিষয়ে আলোচনা করেছি আপনারা আমাদের লেখাগুলো পড়লে সকল বিষয় জানতে পারবেন।

গর্ভকালীন সময় অনেক বেশি কঠিন একটি সময় কারণ এই দশ মাস পার করা অনেক বেশি কঠিন হয়ে যায় একটি মেয়ের কাছে কারণ এই দশ মাসে একটি মেয়ের শরীরে নানারকম পরিবর্তন আসে এবং নানা রকম ভাবে তাকে চলতে হয়। এই দশ মাসের মধ্যে অনেক বিপদ আসতে পারে অনেক সমস্যা হতে পারে আবার গর্ভকালীন অবস্থায় একটি মেয়ের জন্য এতটা ঝুঁকিপূর্ণ যে তার জীবন মরণের ব্যাপার থাকে সেই জন্য শুধুমাত্র আল্লাহ ছাড়া এ সময়টা কেউ রক্ষা করতে পারে না।

তাই গর্ভকালীন অবস্থায় একটি মানুষ কখন কোন আমল করবে সে বিষয়ে আমরা এবারের আয়োজনটি করেছি আপনারা আমাদের লেখাগুলো পড়লে বুঝতে পারবেন যে এই দশ মাসে আসলে আল্লাহর জন্য কি কি করতে হবে এবং কি কি আমল করলে আপনি সুস্থ ও সবল একটি বাঁচার পাবেন।

গর্ভকালীন অবস্থায় একটি মহিলাকে নিয়মিত কোরআন পাঠ করতে হয় কারণ কোরআন থেকে আর বড় কোন গ্রন্থ দুনিয়াতে নেই সেজন্য আপনি যদি নিয়মিত কোরআন তেলাওয়াত করতে থাকেন তাহলে আপনার পেটের বাচ্চা ওর মধ্যে একটি নেতিবাচক ভাব আসবে এবং সে বড় হয়েও আল্লাহ ওপর সন্তুষ্ট অর্জন করার জন্য কিছু করবে। শুধুমাত্র আপনার আচার ব্যবহারের অনুযায়ী আপনার বাচ্চার আচার ব্যবহার হবে আপনি যদি তাকে বেটে রাখে অবস্থায় কারো সাথে অন্যায় কিছু করেন বা কারো খারাপ চান তাহলে আপনার বাচ্চার মধ্যে তেমনি একটি মন মানসিকতা তৈরি হবে সেজন্য এই সময়টাই সব সময় পজিটিভলি ভাবতে হবে।

অন্য কোন মানুষের খারাপ কিছু করা যাবে না অন্য মানুষের ভালো চাইতে হবে এবং অন্য মানুষ যেন সবসময়ই সুস্থ থাকে সে সকল বিষয়গুলোর প্রতি নজর দিতে হবে কারণ আপনি যদি এমন অবস্থায় মানুষের খারাপ চান তাহলে আল্লাহ আপনার খারাপ চাইবে সেজন্য সতর্ক হতে হবে। কাউকে গালাগালি করা যাবে না এবং কারো পেছনে তাকে নিয়ে আলোচনা করা যাবে না যদি আপনি এই সকল কাজগুলো করে থাকেন তাহলে আপনার বাচ্চা বড় হয়েও ঠিক এমনটাই হবে সেজন্য এই সকল কাজ থেকে বিরত থাকুন এবং সব সময় নেতিবাচক মনোভাব রাখুন যেন আপনার বাচ্চার মধ্যে একটি ভাল মনোভাব তৈরি হতে পারে।

গর্ভকালীন অবস্থায় যে সকল আমলনামা গুলো করা উচিত সে বিষয়ে আমরা এবার আপনাদের জানাবো।সন্তান গর্ভধারণের প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় মাসে গর্ভবতী মহিলা সূরা লোকমান ও সূরা ইনশিককাক পড়তে হবে। এই সময়টা মহিলাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সময় সেই জন্য নিয়মিত এই সূরাগুলো পাঠ করতে হবে এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে আল্লাহর কাছে চাইতে হবে যেন আপনার বাচ্চার সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে পারে এবং সুস্থ ভাবে তাকে জন্মদান দিতে পারেন।

তারপরে চতুর্থ পঞ্চম ও ষষ্ঠ মাসে সূরা ইউসুফ ও আল ইমরান পড়তে হবে। এই সূরাগুলার যে এতটা গুনাগুন আপনি যদি নিয়মিত পাঠ করেন তাহলে বুঝতে পারবেন যখন আপনি নিয়মিত আল্লাহর কাছে এই সূরাগুলো পড়বেন তখন দেখবেন যে সকল বালা মসজিদ থেকে আপনি দূরে থাকছেন এবং আপনার কোন রকম কোনো বিপদ হচ্ছে না।

তারপরে সপ্তম অষ্টম ও নবম মাসে আপনি সূরা মারিয়াম ও সূরা মুহাম্মদ পড়তে হবে। এভাবে আপনার নয় মাস পর্যন্ত কেটে যাবে এবং আপনি নিয়মিত কোরআন তেলোয়াত নিয়মিত নামাজ এবং নিয়মিত এই সূরা গুলা পাঠ করতে থাকবেন তাহলে দেখবেন যে আপনি সুষ্ঠুভাবে আপনার বাচ্চাকে পৃথিবীর আলো দেখাতে পারছেন এবং আপনার বাচ্চার মধ্যে এতটা নৈতিকতার সৃষ্টি হবে যে সে বড় হয়ে কারো কোন অন্যায় করবে না এবং আল্লাহর দেখানো পথে জীবন চলতে থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *