বাচ্চাদের রক্ত আমাশয় হলে কি খাওয়া উচিত

বাচ্চাদের রক্ত আমাশয় হলে কি খাওয়া উচিত এটা জেনে রাখা প্রতিটা মায়ের প্রয়োজন কারণ হঠাৎ করে যদি বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়ে বা তার আমাশা শুরু হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে কিন্তু অবশ্যই আপনাকে এ সকল খাবার গুলোর নাম জেনে রাখতে হবে যেন আপনি ঘরোয়া ভাবে তাকে কিছুটা স্বস্তি দিতে পারেন। সেজন্য আপনাকে আমাদের এই লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে এবং আমাদের ওয়েবসাইটের সঙ্গে থাকতে হবে শেষ পর্যন্ত।

তাহলে আপনারা বুঝতে পারবেন যে এমন সিরিয়াস অবস্থায় বাচ্চাকে কি করা উচিত বা কিভাবে যত্ন নিলে আপনার বাচ্চা সুস্থ হতে পারবে। যখন একটি বাচ্চার রক্তে আমাশা শুরু হয় তখন কিন্তু বাচ্চাটার অবস্থা অনেক বেশি খারাপ হয়ে যায় কারণ এই রক্ত আমার সাথে শুরু হলে বাচ্চাদের শরীর থেকে সবকিছু বের হয়ে যেতে থাকে ডায়রিয়ার মাধ্যমে এবং বাচ্চাটার অবস্থা অনেক বেশি খারাপ হয়ে যায়। প্রথমে আপনাদের জেনে নিতে হবে কি কি কারণে বাচ্চাদের ডিহাইডেশন হয় বা কেন বাচ্চাদের রক্ত আমার সাথে শুরু হয়।

যখন বাচ্চাদের শরীর অতিরিক্ত দুর্বল থাকে এবং তারা পুষ্টিকর খাবার খায় না ঠিক সেই সময় তাদের এমন সমস্যাটা দেখা দেয় বর্তমানে যে ধরনের গরম পড়ছে সে সকল গরমে যদি বাচ্চারা পুষ্টিকর খাবার না খায় এবং এমন কিছু খাবার খায় যেগুলোর মাধ্যমে তাদের পেটে সমস্যা দেখা দেবে তখন কিন্তু তাদের রক্ত আমাশয় হওয়াটা একটি স্বাভাবিক বিষয়। বাচ্চাদের সুস্থ রাখতে হলে সব সময় তাদের খাবারের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে এবং তারা কি খাচ্ছে না খাচ্ছে সকল বিষয়ে আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে তাহলে আপনার একটি বাচ্চাকে আপনি সুস্থ রাখতে পারবেন।

যখন একটি বাচ্চার রক্ত আমাশা শুরু হয় তখন তার যে লক্ষণ গুলো দেখা দেয় বমি বমি ভাব হয় বমি হয় এবং তার শরীরে হান্ড্রেড ডিগ্রির ওপরে জ্বর থাকবে যার ফলে বাচ্চাটির অবস্থা এত বেশি খারাপ হয়ে যাবে সে একেবারে নড়াচড়া বন্ধ করে দেবে তার কোন খাওয়া-দাওয়া থাকবে না। এমন অবস্থায় শুধুমাত্র বাচ্চাকে স্যালাইন দিতে হবে আর রক্ত আমাশয় বাচ্চাদের পাঁচ থেকে সাত দিন থাকে কিন্তু এই পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যেই তাদের অবস্থা অনেক বেশি খারাপ হয়ে যায় অনেক সময় রক্ত আমাশয় হয়ে বাচ্চারা মারাও যেতে পারে তাই আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে এবং এই ধরনের সমস্যা হলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে। এমন সমস্যা দেখা দিলে বাচ্চাদের শুধুমাত্র স্যালানের উপরে রাখতে হয় কারণ স্যালাইন ছাড়া তাদের শরীরের কোনরকম জোর আসে না।

তবে যখন ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় তখন আস্তে আস্তে যদি তার ডায়রিয়াটা কমে যায় এবং জ্বর যদি কমে আসে সে ক্ষেত্রে তাকে সবজি দিয়ে ভাত খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে কারণ যে সকল খাবারগুলো খেলে তার রক্ত আমাশা কমে যাবে এবং সে সুস্থ হতে পারবে সে ধরনের খাবার গুলো তাকে দিতে হবে। ছোট বাচ্চারা মুখে রুচিতে ভাজাপোড়া খেতে অনেক বেশি পছন্দ করে কিন্তু এগুলোই তাদের অনেক বেশি ক্ষতি করে ফেলে তাদের শরীরের অবস্থা অনেক খারাপ করে ফেলে। সবসময় চেষ্টা করবেন এই ধরনের খাবারগুলো থেকে বাচ্চাদের দূরে রাখার কারণ তারা মুখে রুচিতে খেয়ে ফেলে কিন্তু তাদের যে ক্ষতিটা হয় সেটা তারা বুঝতে পারে না।

রক্ত আমাশয় হয়ে অনেক বাচ্চা মারা গেছে অনেক বাচ্চা কোমায় চলে গেছে আবার অনেক বাচ্চার অবস্থা অনেক বেশি খারাপ হয়েছে সেজন্য চেষ্টা করবেন রক্ত আমার সাথে হলে তাকে দ্রুত চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করার জন্য আর এই ধরনের সমস্যা হলে কখনো ঘরে বসে রাখবেন না। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন সে জন্য আপনাদের চিন্তার কোন কারণ নেই যে কোন সমস্যা হলে আমাদের ওয়েবসাইটে আসবেন এবং সকল ডাক্তারদের সাথে যোগাযোগ করে আপনার বাচ্চাকে সঠিক চিকিৎসা দিতে পারবেন ধন্যবাদ সবাইকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *