স্ত্রী গর্ভবতী হলে স্বামীর করণীয়

স্ত্রী গর্ভবতী হলে স্বামীর করণীয় যে কাজগুলো রয়েছে তা প্রতিটা স্বামীর জেনে রাখা প্রয়োজন কারণ যখন একটি মেয়ে গর্ভবতী হয় তখন কিন্তু সব সময় তার স্বামীকে পাশে থাকতে হয় সেজন্য তাকে কিছু কিছু বিষয় সঠিক ভাবে জেনে রাখতে হবে যেন তার স্ত্রীর কোনরকম সমস্যা না হয়। কিন্তু অনেক জন আছে যারা এ বিষয়গুলো জানে না অনেক মানুষ আছে যারা স্ত্রীর প্রতি কিভাবে নজর দিতে হবে কোন কোন বিষয়গুলো খেয়াল করতে হবে এগুলো বুঝতে পারে না তাই এবার আমাদের এই আয়োজনটি করা।

আপনারা যারা স্ত্রীর পাশে থাকতে চাচ্ছেন গর্ভবতীর সময় এবং শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই জার্নিটা উপভোগ করতে চাচ্ছেন বা ভালোভাবে আপনাদের সন্তানকে পৃথিবীতে নিয়ে আসতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই আমাদের লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়বেন। কারণ এই বিষয়গুলো আপনাদের অনেক বেশি জেনে রাখা প্রয়োজন তাহলে দেখবেন যে কোন রকম কোন সমস্যা আপনারা পড়ছেন না এবং খুব সুন্দর মতো আপনার স্ত্রীর গর্ভবতীর সময়টা পার করা হচ্ছে।

একটি মেয়ে যখন মা হতে চলে তখন কিন্তু তার নানা রকম চিন্তা মাথায় চলে আসে আবার এই সময়টা অনেক সময় অনেক মানুষ ডিপ্রেশনে চলে যায় তাই নিজের আপন মানুষটা এই সময় পাশে থাকা অনেক বেশি প্রয়োজন সেজন্য অবশ্যই একটি স্বামীর কিছু দায়িত্ব রয়েছে যেগুলো থাকে পালন করতে হবে। যখন একটি স্ত্রী গর্ভবতী হবে তখন কিন্তু তার

নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন প্রথম তিন মাস অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়ে এই সময়টাতে তাকে সাবধানতার সাথে কাজ করতে হয় এই সময় তার স্বামীকে তার পাশে থাকা অনেক বেশি প্রয়োজন। এমন সময় যদি স্ত্রী কোন কাজ করতে না পারে তাহলে অবশ্যই স্বামীকে তার সাথে থাকতে হবে এবং সে কাজটা করতে সাহায্য করতে হবে।

আবার নিয়মিত ডাক্তারের কাছে চেকআপে নিয়ে যেতে হবে গর্ভবতী হওয়ার পরে কমপক্ষে চারবার ডাক্তারের কাছে চেকআপ করতে হবে যখন আপনারা এই চেকআপ গুলো করবেন তখন ভালোমতো বুঝতে পারবেন আপনাদের বাচ্চা সঠিকভাবে বড় হচ্ছে কিনা এবং পেটের মধ্যে তার কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা। যখন এই বিষয়গুলো আপনারা বারবার খেয়াল করতে থাকবেন তখন দেখবেন যে আপনাদের বাচ্চাদের কোন সমস্যা হচ্ছে না এবং সে যদি কোন রকম অপুষ্টিতায় ভোগে তাহলে আপনারা সেটা ঠিক করে নিতে পারবেন যার ফলে বাচ্চাটা পৃথিবীতে আসার সময় কোন রকম ঝামেলা হবে না।

এছাড়াও স্ত্রী সঠিক ভাবে খাচ্ছে কিনা এবং তার কি খেতে ইচ্ছে করছে এবং তার কি করতে ইচ্ছা করছে এ বিষয়গুলোর উপর গুরুত্ব দিতে হবে যেন কোন রকমই স্ত্রীর মন খারাপ না হয় কারণ যখনই আপনার স্ত্রীর মন খারাপ হবে তখনই গর্ভের বাচ্চাটার ক্ষতি হবে এবং সেও বিষন্ন থাকবে। পেটের মধ্যে বাচ্চারা যে প্রক্রিয়া অনুভব করবে অনেক সময় বাইরে আসার পরে তাদের প্রক্রিয়াটা তেমন থেকে যায় সেজন্য সবসময় চেষ্টা করবেন বাচ্চাটা যেন পেটের মধ্যে ভালো থাকতে পারে।

আবার আপনারা যে কোন বিষয়ে মাকে বেশি টেনশন দেবেন না কারণ যখনই আপনারা গর্ভবতী মায়ের উপরে বেশি প্রেসার দেবেন তখন সেটা বাচ্চার উপর পড়বে সেজন্য এটা অবশ্যই স্বামীরও দায়িত্ব তাকে সঠিকভাবে সবকিছু খেয়াল করে রাখা। একটি স্বামীর আর দায়িত্ব রয়েছে যেকোনো সময় ডেলিভারি হতে পারে সে বিষয়টা মাথায় রেখে কিছু টাকা পয়সা নিজেদের কাছে জমিয়ে রাখা প্রয়োজন যেন যেকোনো সময় তারা ডাক্তারের কাছে যেতে পারে এবং চিকিৎসা নিতে পারে। গর্ভবতী মায়ের পাশে থাকা এবং তাকে প্রতিটা কাজে সাহায্য করা এবং তার পছন্দমত কাজ করা প্রতিটা স্বামীর দায়িত্ব।

যেকোনো ধরনের সমস্যা হলে তাকে সাহায্য করা এবং প্রয়োজন পড়লে তাকে বেড রেস্টে রেখে বাড়ির কিছু কিছু কাজ স্বামী করে দেয়া।যখনই একটি পরিবারের দুজন মানুষের মধ্যে সঠিক বোঝাপড়া থাকবে তখন কিন্তু সেখানে কোন রকম ঝামেলা হবে না এবং যখনই আপনারা এমন ভাবে দিন পার করবেন তখন কিন্তু গর্ভের সন্তানরাও ভালোভাবে পৃথিবীতে আসতে পারবে সেজন্য চেষ্টা করতে হবে মা-বাবা দুজনকেই।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *