পাইলসের অপারেশনের পর করণীয়

পাইলসের অপারেশনের পর যে সকল করণীয় গুলো রয়েছে সেগুলো অবশ্যই আপনাদের ভালোমতো জানতে হবে। কারণ যদি অপারেশনের পরে আপনারা সঠিকভাবে সেটার পরিচর্যা না করেন তাহলে কিন্তু সেখান থেকে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে তাই যে কোন অপারেশনের পরে সেটাকে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে এবং সঠিকভাবে ওষুধ খেয়ে সুস্থ হতে হবে।

কিন্তু অনেক মানুষ আছে যারা এই সকল বিষয়গুলো সঠিকভাবে জানে না কিন্তু অবশ্যই আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে এই তথ্যগুলো জেনে নেবেন যে পাইলসের অপারেশনের পরে আসলে কি কি করতে হবে। অনেক মানুষ আছে যারা অপারেশন করতে একেবারেই ভয় পায় আবার অনেকে আছে যারা দীর্ঘদিন থেকে এই সমস্যা নিয়ে রয়েছে কিন্তু ডাক্তারের কাছে যায় না নিজেই কষ্ট পেতে থাকে। তবে ভয় পাবার কিছু নাই আপনারা যখন আমাদের ওয়েবসাইটের এই লেখাগুলো পড়বেন তখন বুঝতে পারবেন যে এটা কঠিন কোন বিষয় নয় কারণ বর্তমানে অপারেশনের সিস্টেমগুলো এত বেশি আধুনিক হয়েছে যে আপনি খুব অল্প দিনের মধ্যে সুস্থ হতে পারবেন এবং আপনার এই সকল সমস্যা একেবারে দূর হয়ে যাবে।

পাইলস অনেক বড় ধরনের একটু সমস্যা এই ধরনের সমস্যা যাদের রয়েছে তারা কিন্তু একেবারেই শান্তিতে থাকতে পারে না তারা যে ধরনের খাবার খায় বা যেভাবে চলাফেরা করুক না কেন এটার জন্য তারা একেবারেই অশান্তির মধ্যে থাকে। পাইলসের অপারেশন করার পরে ডাক্তার আপনাকে কিছু নির্দেশনা দিবে অবশ্যই আপনাকে সেই সকল নির্দেশনা গুলো মেনে চলতে হবে আপনারা যারা আগে থেকে এই সকল বিষয়গুলোর উপর সতর্ক হতে চাচ্ছেন বা সতর্ক থাকা প্রয়োজন মনে করছেন তারা অবশ্যই আমাদের এই লেখাগুলো পড়ুন।

অপারেশন করার পরে অবশ্যই ডাক্তার আপনাকে কিছু ক্রিম দিবে যেগুলো আপনার ক্ষতস্থানে নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে তবে সেটা নির্দিষ্ট কিছু সময় রয়েছে অনেক সময় সেটা একমাস হতে পারে অনেক সময় সেটা দেড় মাস হতে পারে তবে নিয়মিত সেটা ব্যবহার করতে হবে। এতে করে আপনার ক্ষতস্থানটি তাড়াতাড়ি শুকাবে এবং সেখানে কোন রকম সমস্যা হবে না আর পাইলসের সমস্যা এমন একটি জায়গায় যেখানে আপনি বাথরুমে গেলেই বারবার সেখানে টান লাগবে এবং সেই জায়গাটাতেও টান রাখতে পারে তাই এগুলো নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে।

এছাড়াও এই সমস্যার জন্য অপারেশনের পরে অবশ্যই গরম পানির সেক দিতে বলা হয়। অনেক সময় গামলার মধ্যে কুসুম গরম পানি নিয়ে সেখানে ক্ষতস্থানটি রাখতে হয় এতে করে যে কোন ধরনের জীবাণু যদি সেখানে থাকে তাহলে সেটা দূর হয়ে যায় এবং আক্রান্ত মানুষটি অনেক বেশি আরাম পায়। এছাড়াও নিয়মিত যে ধরনের ওষুধগুলো খেতে দিয়েছে ডক্টর সেগুলো অবশ্যই খেতে হবে আর নিয়ম করে খেতে হবে তাহলে খুব অল্প দিনের মধ্যেই নিজেকে সুস্থ করে তোলা যাবে। এই অপারেশনের পরে ডাক্তার নির্দিষ্ট কিছু খাবার বলে দেয় যে খাবারগুলো আপনাকে সে নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী খেতে হবে কারণ খাবারের ওপরে সুস্থতা নির্ভর করে।

যে সকল খাবারগুলোতে পাইলসের কোন সমস্যা হবে না সে খাবার গুলো নিয়মিত খেতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে যতদিন না আপনি সুস্থ হচ্ছেন। অপারেশন করার পর অবশ্যই রোগীকে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে যে সকল খাবারের শরীরের রক্ত বৃদ্ধি পায় সে সকল খাবার গুলো নিয়মিত খেতে হবে এতে করে শরীরের রক্তের ঘাটতি দেখা দিলে সেটা পূর্ণ হয়ে যাবে। আশা করছি এ সকল বিষয়গুলো আপনারা ভালোমতো বুঝতে পেরেছেন তাই যারা পাইলসের সমস্যা নিয়ে রয়েছেন এবং অপারেশন করতে ভয় করছেন তারা অবশ্যই তাড়াতাড়ি ডাক্তারের পরামর্শ নেন এবং চিকিৎসা নেন।

আর বর্তমানে অপারেশন ভয়ের কিছু নেই প্রায় আপনি এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে সুস্থ হয়ে যেতে পারবেন আবার আগের মত। তবে অবশ্যই আপনাকে উন্নতমানের চিকিৎসা নিতে হবে কারণ আপনি যদি উন্নতমানের চিকিৎসা না নেন তাহলে কিন্তু সেখানে ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে তাই যেখানে চিকিৎসা নেন ভালো ডাক্তার বুঝে তারপরে অপারেশন করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *