চুল পড়া রোধে করণীয়

চুল পড়া রোধে করণীয় জানতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে এবং আমাদের এই লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন তাহলে আপনাদের চুল পড়ার সকল সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন। দীর্ঘদিন ধরে চুল পড়ার সমস্যা রয়েছেন কোন কিছু ব্যবহার করে চুল পড়া সমস্যা একেবারেই দূর করতে পারছেন না চিন্তার কোন কারণ নেই আমাদের ওয়েবসাইটের এই টিপস গুলো যদি ফলো করতে পারেন তাহলে আপনাকে চুল পড়া সমস্যা একেবারে দূর হয়ে যাবে।

চুল পড়ার সমস্যা অনেক বড় একটি সমস্যা এটা ছেলে বা মেয়ে দুজনেরই হতে পারে সে ক্ষেত্রে আপনারা যারা চুল পড়ার সমাধান চাচ্ছেন তারা অবশ্যই আমাদের এখান থেকে এই টিপসগুলো ফলো করুন। চুল পড়া কমাতে হলে আপনাদের বেশি কিছু করার দরকার নেই শুধুমাত্র রেগুলার যেভাবে চলছে সেই চলাফেরা গুলো একটু যদি চেঞ্জ করতে পারেন তাহলে দেখবেন যে আপনাদের চুল পড়া সকল সমস্যা দূর হয়েছে।

অনেক সময় অনেক মানুষ আছে যারা চুলের একেবারে যত্ন নেয় তারা সারাদিন বাসায় বসে থাকে এবং চুলের কোনোভাবেই কোন যত্ন নিতে পারেনা যেমন চুল আঁচড়ায় না চুলে তেল দেয় না চুলে শ্যাম্পু করে না ইত্যাদি। এমন অবস্থায় কিন্তু অবশ্যই আপনার চুল পড়া শুরু হবে কারন আপনি যদি চুলের যত্নই না নেন তাহলে আপনার চুল ঠিক থাকবে কি করে আর সবচেয়ে বড় কথা হল যারা চুলের তেল দেন না তাদের চুল কিন্তু ঠিক থাকবেনা।

মানুষের শরীর যেমন খাদ্য ছাড়া চলতে পারেনা চুল ঠিক তেমন তেল ছাড়া সেও পর্যাপ্ত পরিমাণের পুষ্টি পায় না সেজন্য প্রথম অবস্থাতে চুল যদি ভালো রাখতে চান তাহলে আপনাকে নিয়মিত চুলে তেল দিতে হবে। সেই সকল তেলগুলো ব্যবহার করুন যে তেল গুলো আপনার চুলের সুট করে এবং যে তেলগুলো আপনার চুলে ব্যবহার করলে চুল অনেক বেশি ভালো থাকে। গোসল করার পরে ভেজা চুল কখনোই আচড়াবেন না কারণ গোসলের সময় আপনার চুলের গোড়া নরম হয়ে থাকে তখন যদি আপনি চুল আঁচড়ান তাহলে কিন্তু চুল উঠে যাবে।

ভেজা চুল এবং অতিরিক্ত ঘামের চুল কোন সময় বেঁধে রাখবেন না আগে চুল ভালো করে শুকাবেন তারপরে চুল বাঁধবেন তা না হলে চুলের গোড়া একেবারে নরম হয়ে যায় যার ফলে পরবর্তীতে চুল ওঠা শুরু হয়। যদি কাজের জন্য সব সময় মাথায় হিজাব পড়ে থাকতে হয় তারপরেও যদি একটু সময় পান তাহলে চলে একটু বাতাস খাওয়াবেন বা চুলটা শুকিয়ে নেবেন কারণ যখন আপনার মাথায় ঘাম থাকবে তখন কিন্তু চুল পড়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে সেজন্য সতর্ক হতে হবে।

সপ্তাহে অন্তত দুইবার চুলে হেয়ার প্যাক লাগান যাতে আপনার চুল পর্যাপ্ত পরিমাণের পুষ্টি পায় এবং কোনো রকম ভাবে অপুষ্টিতে না ভোগে। নিয়মিত তেলের সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশ্রিত করে চুলে লাগান এতে আপনার চুল পর্যাপ্ত পরিমাণের ভিটামিন ই পাবে যার ফলে চুলের সকল সমস্যা দূর হবে এবং চুল পড়া কমে যাবে।

এছাড়াও যদি কোন রকম কোন এন্টিবায়োটিক ওষুধ খেতে থাকেন তাহলে খেয়াল করবেন সেই ওষুধের সাইড ইফেক্ট এর কারণে আপনার চুলের উপর ক্ষতি করছে কিনা কারণ অনেক সময় অনেক ওষুধের ক্ষতি হয় সাইড ইফেক্ট হয় যার প্রভাবে মানুষের শারীরিকভাবে যে কোন জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

সেই ক্ষেত্রে কিন্তু ওষুধের সাইড ইফেক্ট একটা চুলের ওপর বেশির ভাগ করে তাই এটা খেয়াল করবেন। এছাড়াও চুলে নিয়মিত তেল দেবেন এবং শ্যাম্পু করবেন যেন কোন রকম চুল ময়লা না থাকে। পর্যাপ্ত পরিমাণের পুষ্টিকর খাবার খাবেন যেন শরীরের পাশাপাশি আপনার চুল পর্যাপ্ত পরিমাণের পুষ্টি পায় এবং পুরা শরীরের রক্ত সরবরাহ ভালো হয় ও অক্সিজেন ভালোমতো নেয়া যায়।

যখন আপনি এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন তখন কিন্তু আপনার শারীরিক কোন সমস্যা থাকবে না পুরো শরীরটা সুস্থ থাকবে তার পাশাপাশি আপনার চুল উঠাও কমে যাবে। যখন শরীরে কোন পুষ্টির অভাব দেখা দেয় তখন চুল পড়া আরো বেশি বৃদ্ধি পায় সেজন্য এই সকল বিষয়গুলোর উপর খেয়াল রাখবেন তাহলে আপনার সকল সমস্যা দূর হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *