অনিয়মিত মাসিক কেন হয়? হওয়ার কারণ কি?

অনিয়মিত মাসিক কেন হয় এবং হওয়ার কারণ কি এই ধরনের প্রশ্ন অনেকের মনে জেগে থাকে কিন্তু এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর অনেকেই জানে না। কিন্তু আপনারা যারা আমাদের ওয়েবসাইটে আসবেন তারা এই সকল প্রশ্নের উত্তরগুলো সহজে পেয়ে যাবেন আর এই ধরনের সমস্যার জন্য অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে যে কেন হয় কারণ যখন আপনি কারণ গুলো জানতে পারবেন তখন এটার সমাধান খুব সহজে করতে পারবেন।

অনিয়মিত মাসিক হওয়ার নানা রকম কারণ রয়েছে এগুলো সাধারণত অবিবাহিত বা অবিবাহিত মেয়ে উভয়েরই হয়ে থাকে। অনুমিত মাসিক হলে মেয়েদের নানা রকম সমস্যা দেখা দেয় কারণ প্রতিমাসের নির্দিষ্ট কোন তারিখের মধ্যে মাসিক হয় আর যখন এটা হতে চায় না বা অনিয়মিতভাবে হয় তখন মেয়েদের শারীরিক ভারসাম্যটা নষ্ট হয়ে যায়। একটি মেয়ের এ মাসিক হওয়াটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় কারণ মেয়ে মানুষ সবসময়ই বাচ্চা গ্রহণ করে এবং বাচ্চা জন্মদান দেয় যার জন্য এই মাসিকের প্রয়োজন পড়ে।

বর্তমানে অনেক মেয়ে মানুষ আছে যারা এই সমস্যা নিয়ে ভুগছে আর মাসিকের সমস্যা হলে বাচ্চা নিতে সমস্যা হয় মাসিকের সমস্যা হলে অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পায় মাসিকের সমস্যা হলে জরায়ুর ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা ও থাকে সেই জন্য যাদের এই ধরনের সমস্যা রয়েছে তারা দ্রুত ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এবং সমস্যার সমাধান করতে হবে।মাসিকের যেকোনো সমস্যা হলে গাইনোকলজিস্ট এর সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে কারণ আপনার কি সমস্যা কিসের জন্য মাসিক হচ্ছে না এটা পরীক্ষা করলে ভালোভাবে বোঝা যাবে। যেমন অবিবাহিত মেয়েদের কিছু এক্সট্রা কারণ রয়েছে এবং বিবাহিত মেয়েদের মাসিক না হওয়ার পেছনে কিছু কারণ রয়েছে।

অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক না হওয়ার কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত মোটা হয়ে যাওয়া আবার হরমোনের সমস্যার জন্য যারা অতিরিক্ত মোটা তাদের এটা নিয়মিত হতে চায় না কারণ শরীরের চর্বি জমে যায়। অবিবাহিত মেয়েরা সঠিকভাবে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাদ্য খেতে চায় না খাদ্যের প্রতি তাদের অনেক অনীহা থাকে এবং তারা পরিমাণ মতো পুষ্টি শরীরে গ্রহণ করে না। যখন একটি মেয়ের মাসিক শুরু হয় তখন থেকে তাকে পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হয় কারণ মাসিক হওয়া মানে শরীরের অতিরিক্ত বর্জ্য পদার্থ বা রক্ত শরীর থেকে বের হয়ে যাওয়া এই সময় মেয়েরা দুর্বলতা অনুভব করে এবং দুর্বল হতে থাকে যার জন্য তাদের এই সময়টাই পুষ্টিকর খাবার খেতে হয়।

তারপরে খেয়াল রাখতে হবে যে মেয়ে মানুষ বিয়ের আগে বা পরে অতিরিক্ত মোটা যেন না হয়ে যায় যখন অতিরিক্ত মোটা হয় এবং শরীরের চর্বি জমে তখন জরায়ুতে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। বিবাহিত মেয়েদের যে সকল কারণে অনিয়মিত মাসিক হয় যেমন তাদের পেটে সিস্ট থাকলে বা জরায়ু বা অভারিতে কোন ধরনের কোন সমস্যা দেখা দিলে নিয়মিত মাসিক হতে চায় না। অবিবাহিত মেয়েরা যদি অতিরিক্ত জন্ম নির্ধারণ ওষুধ খায় বা কোন কিছু না বুঝেই বাচ্চা নষ্ট করতে থাকে তাহলে তাদের নিচের সমস্যা দেখা দিতে পারে বা এই ওষুধগুলোর সাইড ইফেক্ট হিসেবে তাদের এই সমস্যাগুলো হয়ে থাকে।

তাই অবিবেতো মেয়েদেরও এ সকল বিষয়গুলোর প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে আবার অনেকের থাইরয়েডের সমস্যা রয়েছে যাদের থাইরয়েডের সমস্যা রয়েছে তাদের এই মাসিক নিয়মিত হতে চাই না সেজন্য যত দ্রুত সম্ভব থাইরয়েড চিকিৎসা করতে হবে। হরমোন জনিত কারণে মাসিক বন্ধ হয়ে থাকতে পারে সেজন্য হরমোনের সকল ফ্যাক্টর ঠিক আছে কিনা এ বিষয়গুলোর উপরও খেয়াল রাখতে হবে।

যখন আপনার অনিয়মিত মাসিক শুরু হবে তখন বেশি দিন দেরি না করে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যেতে হবে তাহলে দেখবেন যে খুব তাড়াতাড়ি চিকিৎসা পাওয়া যাচ্ছে এবং খুব তাড়াতাড়ি আপনি সুস্থ হতে পারছেন। মাসিক হওয়াটা মেয়েদের স্বাভাবিক একটি বিষয় আর শারীরিক সুস্থতা অর্জনের জন্য হলেও মাসিকটা নিয়মিত হওয়া প্রয়োজন মাসিক নিয়মিত না হলে শরীরে ভারসাম্যতা হীনতায় দেখা দেয় এবং শরীর ভারী হয়ে যায়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *