মাসিক দেরিতে হয় কেন

অনেক সময় মাসিক দেরিতে হয় তবে এটা নিয়ে চিন্তার কোন কারণ নেই যদি আপনার প্রতি মাসে মাসিক সঠিকভাবে সঠিক নিয়মে হয়ে থাকে তাহলে কোন কোন মাসে এটা এমনিতেই দিয়ে দিতে হয়। আপনারা যারা প্রায়ই মাসিক দেরিতে হওয়া নিয়ে সমস্যা রয়েছেন তারা অবশ্যই আমাদের এই লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়বেন এবার আমরা আপনাদের সুবিধার জন্যই মাসিকের সকল সমস্যা নিয়ে আমাদের আয়োজনটি করেছে।

প্রতিটা মেয়ের জন্য মাসিক একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কারণ এই মাসিকের মাধ্যমে কিন্তু একটি মেয়ে তার জীবনে পূর্ণতা। একটি মেয়ে যখন বিবাহ হয় এবং তার পরে যদি সে মা না হতে পারে তাহলে কিন্তু সারা জীবনের জন্য তার অনেক আফসোস থেকে যায় সে কিন্তু অনেক চেষ্টা করার পরেও মা হতে পারে না। শুধুমাত্র তার যদি মাসিকের কোন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে কিন্তু সে মানুষটা কখনোই মা হতে পারবে না তাই আপনাদের যাদের মাসিকের সমস্যা রয়েছে তারা দেরি না করে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন প্রথম থেকেই।

যত তাড়াতাড়ি আপনারা ডাক্তারদের সাথে যোগাযোগ করবেন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন এবং চিকিৎসা নেবেন ততই আপনারা সুস্থ থাকতে পারবেন এবং পরবর্তী জীবনে কোনো রকম কোনো সমস্যা হবে না। বিভিন্ন কারণে মাসিক দেরিতে হতে পারে তবে এটা নিয়ে সবসময় চিন্তার কোন কারণ নেই যদি আপনার সব সময় এরকম সমস্যা দেখা দেয় তাহলে বুঝে নেবেন যে এটা ভেতরের কোন সমস্যার জন্য হচ্ছে। অনেক সময় যে সকল মেয়েদের প্রথম বার মাসিক হয় সে সময় কিন্তু তাদের মাসিক পরবর্তী সময় আরও বেশি দেরিতে হয়।

যেমন অনেক সময় মাসিক একবার হলে তিন চার মাস পরে আবার হয় তবে এটা শুধুমাত্র প্রথমবারের ক্ষেত্রে তারপরে আস্তে আস্তে সেটা রেগুলার হয়ে যায় এবং তখন আর কোনভাবে দেরি হয় না তখন সেটা নিয়মে সেটা চলতে থাকে। মাসিক দেরিতে হওয়ার কিছু কারণ রয়েছে যেমন ধরুন আপনার শারীরিক অবস্থা যদি একেবারে খারাপ থাকে এবং আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিমাণের পানি না খান খাবার না খান সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার মাসিক হতে অনেকটা সময় লাগবে। অনেক সময় শারীরিক ইমিউনিটির অভাবে মাসিকের সময়টা এক মাস থেকে দেড় মাসে চলে যায়।

কিছু কিছু মেয়েরা আছে যারা অতিরিক্ত তেল চর্বিযুক্ত খাবার খায় এবং যাদের ওজন অতিরিক্ত তাদের শরীরে এত বেশি চলবে যে তাদের নিয়মিত মাসিক হয় না। অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার জন্য তাদের জরায়ুতে চর্বি হয়ে যায় যার ফলে মাসিক নিয়মিত হয় না তবে তারা যদি ডাক্তারের কাছে যায় এবং চিকিৎসা নাই সে ক্ষেত্রে তাদের চর্বি একেবারে গলে যাবে তারপরেরা তাদের নিয়মিত মাসিক হয়। যাদের এরকম শরীরে চর্বির সমস্যা রয়েছে তারা কিন্তু পরবর্তীতে নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হয় যেমন ধরুন তাদের জরায়ুতে এত বেশি সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে সেখান থেকে টিউমার হয়ে যেতে পারে আবার অনেক সময় অনেক মেয়েদের বাচ্চা হয় না।

বাচ্চা না হওয়ার পেছনে কিন্তু শুধুমাত্র শারীরিক গঠন এবং শারীরিক অবস্থার ও কিছু তাড়ানোর জন্য দায়ী। যখন মেয়েদের শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমে যায় এবং অতিরিক্ত মোটা হয়ে যায় তখন কিন্তু তাদের জরায়ুতে চর্বি জমে যার ফলে তাদের মাসিক ক্লিয়ার ভাবে হয় না আর যখনই মাসিক ক্লিয়ার ভাবে হবে না তখনই কিন্তু সেই সকল মেয়েদের বাচ্চা নেয়ার সময় নানারকম সমস্যা দেখা দেয়। জরায়ুর সমস্যা যদি একটা বার শুরু হয়ে যায় তারপর থেকে কিন্তু আর সেটার ভালো করা সহজ হয় না আবার অনেক মানুষের তো সারা জীবনে আর বাচ্চাও হয় না।

অনেক বেশি চিকিৎসা অনেক বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরেও কিন্তু কিছু কিছু মানুষের বাচ্চা হয় না শুধুমাত্র জরায়ুর সমস্যার জন্য। তাই যে সকল কারণে মাসিক দেরিতে হয় আপনারা চেষ্টা করবেন সে সকল কারণগুলো থেকে দূরে থাকতে এবং তৈলাক্ত খাবার থেকে দূরে থাকবেন সঠিক নিয়মে খাবার খাবেন শরীরে যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত থাকে তাহলে দেখবেন যে আপনাদের এই সকল সমস্যা দূর হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *